দাম্পত্য সম্পর্কের ভেতরের দুইজন মানুষের কথা বলছি-
একজন- স্থিরতায় বিশ্বাসী, নিপুনতায় স্বাচ্ছন্দ বোধ করে, কোন পরিবর্তনে সহসা পা বাড়াতে চায় না।
অন্যজন- গতির পূজারী, স্থির ভাবনায় একঘেয়েমিতে ভূগে, পরিবর্তন মানে আর একটি নতুন দিন।
প্রথম ধাঁচের মানুষেরা সাধারনত চেনা জগতের, গন্ডির বাইরে যেতে চায়না, ভাবতে চায়না। স্ত্রীটি ঠিক সময় ধরে সংসার চালায়, হিসেবের বাইরে কোন ঝন্ঝাট চায়না। আচমকা পাওয়া তাকে বিব্রত করে।
দিনশেষে সারাদিনের কর্মব্যস্ততার সুচারূভাবে সম্পন্ন করাটাই সাফল্য, কিংবা স্বামীটি- প্রতিদিনকার মতো নিয়ম ধরে কাজে যাওয়া কিংবা ঘড়ি ধরে, টাইম টেবল ধরে চলা- এটাই তার কাছে সফল জীবন।
অন্যপক্ষের মানুষেরা চায় পরিবর্তন- নিত্য সৃষ্টিশীল কিছু। স্ত্রীটি নিত্য নতুন অনুরাগের প্রত্যাশায় থাকে, আচমকা পাওয়া তাকে আত্মহারা করে। ছক বাঁধা যাপিত জীবন তার শ্বাস রোধ করে যেন। কিংবা স্বামীটি- প্রতিদিন ঘরে ফিরে সে নতুন কোন অনুভুতির খোঁজে থাকে, খোঁজ করে।
কিছু প্রত্যাশার বাইরের চাওয়া, সেটা ভালোবাসাই হোক অথবা ঘৃণাই হোক- অনুভুতির নিত্য উঠানামাটাই তাকে আটকে রাখে।
যারা দ্বিতীয় ধাঁচের মানুষ এরা মুলত: সৃষ্টিশীল। কবি, লেখক, চিত্রকার কিংবা সুকুমার বৃত্তিগুলি নিয়ে কাজ করে এমন লোক। এরা যখন তাদের বিপরীত মুখী ধারার সাথে জুটি বাঁধে তখন অনেক ক্ষেত্রে ভুল বুঝা বুঝির সৃষ্টি হয়। অনেক ক্ষেত্রেই দ্বিমত দেখা দেয়।
আবার তারা যদিও নিজের ধাঁচের মানুষের সাথে এই ভুল বুঝাবুঝি এড়িয়ে চলতে পারে- কিন্তু স্থিরতার অসহনীয়তা তাদেরকেও অনেক সময় আলাদা করে দেয়।
সবচেয়ে সুখী জুটি মনে হয় প্রথম ধাঁচের জুটি। দুজন দুজন কে বুঝতে পারে সহজেই। ঢেউএর ধাক্কা এড়িয়ে একজন আরেকজনের হাত ধরে থাকতে পারে খুব দৃঢ়ভাবেই। এই অবস্থান থেকেও কিন্তু সৃষ্টিশীলতা আসতে পারে।
হয়তো একটা নির্দিষ্ট পর্যায় পর্যন্ত।
(নির্দিস্ট কোন ভাবনা থেকে এই লেখাটা দেয়া হয়নি। নিছকই নিজের ভাবনা টুকুকে গ্রন্থিত করার চেষ্টা। ধন্যবাদ। )
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।