সকল অন্ধকারের হোক অবসান
এতোদিন শুধু টিভির পর্দায় দেখেছি রাজনীতি বিশেষজ্ঞ এবং সাংবাদিকরা আসছে নির্বাচন নিয়ে সংশয় প্রকাশ করছেন। আমাদের বাণিজ্য উপদেষ্টা তাঁদের কেদার বিশেষজ্ঞ উপাধি দিয়ে বলেছেন: তারাই কেবল সংশয় প্রকাশ করছেন। মাননীয় উপদেষ্টা আরো একদিন সাংবাদিকদের বলেন- আপনারাই নির্বাচন নিয়ে সংশয় প্রকাশ করছেন।
কিন্তু আজ শাহবাগ থেকে এক রিক্সায় উঠলে মধ্যবয়স্ক রিক্সা চালক ভাই আমার সঙ্গে নানা বিষয়ে কথা শুরু করেন। এক পর্যায়ে তিনি জানতে চান- নির্বাচন হবে তো? তিনি আরো বলেন, এ সন্দেহ এখন সকলের মধ্যে।
`সকল' মানে তার পরিচিত কিংবা আধা পরিচিত মানুষের কথাই বোধহয় ইঙ্গিত করেছেন।
এ সংশয় কীভাবে ছড়াল, কে ছড়াল তা বলতে পারব না। তবে এতোটুকু বলা যায় এ সংশয় মূলত নির্বাচন হওয়া, না হওয়া নিয়ে নয়। মানুষের সংশয় আসলে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে কিনা এবং সবচে গুরুত্বপূর্ণ হলো এ নির্বাচনে বিদেশী শিক্তর অঙ্গুলি নির্দেশ থাকবে কিনা। এসকল সংশয়ই এখন জড়ো হয়েছে `নির্বাচন হবে কিনা' এ প্রশ্নে।
প্রকৃত অর্থে `নির্বাচন হবে কিনা'- এর জায়গায় হবে `নির্বাচন সুষ্ঠু হবে কিনা'। `সুষ্ঠু' শব্দটা উহ্য আছে। মাননীয় সরকার এটা আপনার বুঝতে হবে।
আপনি মুখে ফেনা তুলে ফেলছেন `নির্বাচন হবে', `নির্বাচন হবে' বলে। কিন্তু একবারও নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না- দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্তরা নির্বাচন করতে পারবে না এবং যুদ্ধপরাধীরা নির্বাচনের উপযুক্ত নয়।
কীভাবেই বা মুখ ফুটে এসব বলবেন? আপনাদের সঙ্গে এক টেবিলে বসে দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত এবং যুদ্ধাপরাধী- এই ডাবল দায় নিয়েও জাতীয় বেঈমানরা বৈঠক করতে পারে। পোড়া কপাল আমাদেরই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।