ইচ্ছেমতো লেখার স্বাধীন খাতা....
কোয়ান্টাম অফ সলেস নামে জেমস বন্ড সিরিজের সর্বশেষ সিনেমাটি বিশ্বব্যাপী মুক্তি পাবে আরো এক সপ্তাহ পর, এ মাসের ১৫ তারিখে। তবে তার আগেই মুভিটি বৃটেন আর আয়ারল্যান্ডের সিনেমা হলগুলোতে মুক্তি পেয়েছে। এতো আগে মুভিটি দেখার এ সুযোগ পেয়ে বাসায় বসে থাকতে বেশ কষ্ট হচ্ছিলো। আজকে মুভিটা দেখার সুযোগ পেয়েও গেলাম। জেমস বন্ড সিরিজের সবগুলো সিনেমাই আমার দেখা।
তাই কাহিনী আর অ্যাকশনে নতুন কি আসলো এসবে আগ্রহের কমতি ছিলো না।
সন্ধ্যায় আমরা কয়েক বন্ধু মিলে ভু-সিনেমাতে গিয়ে টিকেট কেটে বসে পড়লাম। সিনেমা হলটা অনেকটা বিটিভির মতো সময় মেনে চলে। বিভিন্ন বিজ্ঞাপন আর মুভির ট্রেইলার দিতে দিতে আটটার শো শুরু করলো সাড়ে আটটায়।
-----------------------------------
অ্যাসটন মার্টিন গাড়ির কঠিন এক রেসের মাধ্যমে সিনেমা শুরু হলো।
বৃটিশ গোয়েন্দা সংস্থার এজেন্ট মি. বন্ড আর বন্ডের বস এম জিজ্ঞাসাবাদ করছিলো মি. হোয়াইটকে একটা গোপন সংগঠন সম্পর্কে। বিভিন্ন অ্যাকশন আর ঘটনার মাধ্যমে কাহিনী জমে ওঠার সাথে সাথে বের হয়ে আসে সংগঠনটি তাদের ধারণার চেয়েও বড় আর বিপজ্জনক।
এক পর্যায়ে হাইতিতে গিয়ে বন্ডের সাথে পরিচয় হয় এবারের বন্ড গার্ল ক্যামিলির সাথে। ক্যামিলি বন্ডকে নিয়ে যায় গোপন সংগঠনটির অন্যতম প্রধান ডমিনিক গ্রিনির কাছে।
এর পর অস্ট্রেলিয়া, ইতালি আর দক্ষিণ আমেরিকায় বন্ড আর ক্যামিলিকে ঘিরে নানা রোমহর্ষক ঘটনার সূত্র ধরে বন্ড আবিষ্কার করতে সমর্থ হয় গ্রিনির গোপন সংগঠনটির মূল উদ্দেশ্য বর্তমান পৃথিবীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক সম্পদের একটি - বলিভিয়ার তেল খনি কব্জা করা।
তাদের সহযোগিতা করছে সে দেশটির কিছু দুর্নীতিবাজ জেনারেল।
পারস্পরিক চুক্তি অনুযায়ী জেনারেল পাবে তাদের দেশের রাজনৈতিক ক্ষমতা। আর তার বিনিময়ে সংগঠনটি পাবে তেল খনির জায়গা।
বহু খুন খারাপি, বিশ্বাসঘাতকতা আর সংঘর্ষের এক পর্যায়ে বন্ডের সাথে তার বস এমের দূরত্ব তৈরি হয়। অনেকগুলো খুনের মিথ্যা দায় বন্ডের ঘাড়ে চাপে।
তবু সবকিছু অগ্রাহ্য করে বন্ড চেষ্টা করতে থাকে গ্রিনির গোপন সংগঠনটির অশুভ কার্যক্রম বন্ধ করার জন্য।
কাহিনীর প্রয়োজনেই সিনেমার মাঝখানে দেখা যায় ক্যামিলিকে উদ্ধার করার জন্য বন্ডের স্পিড বোটে করে অ্যাকশন আর বিমানে বন্ড আর ক্যামিলির দুর্দান্ত ফ্লাই। দেখার পর মনে হলো সিনেমাটা খুব তাড়াতাড়িই শেষ হয়ে গেল।
এবারের মুভিতে বন্ডের গাড়ির বৈচিত্র লক্ষ্যনীয়। নজরকাড়া অ্যাসটন মার্টিন দিয়ে বন্ডের যাত্রা শুরু হলেও শেষ হলো ফোর্ডের গাড়ি দিয়ে
তবে বন্ডের অন্য মুভিগুলোর তুলনায় এবারেরটার আকর্ষণ কম।
ড্যানিয়েল ক্রেইগ অভিনিত বন্ডের শেষ মুভিদুটোতে অ্যাকশন আগের তুলনায় বাড়লেও কাহিনীর বৈচিত্র কমেছে বলেই মনে হলো।
----------------------
দেখা শেষ করার পর ট্যাক্সি কম্পানিতে ফোন দিলাম। তারা জানালো দুই মিনিটের মধ্যেই তাদের ট্যাক্সি আসছে। হলের বাইরে দাড়িয়ে ঠাণ্ডায় জমে যাচ্ছিলাম। তাই দুই মিনিট হওয়ার আগেই ট্যাক্সি কম্পানিতে আবার ফোন দিলাম।
কই আপনাদের ট্যাক্সি?
ফিল্মি স্টাইলেই তারা জানালো, দেখতো নীল রঙের কোনো গাড়ি দেখা যায় কিনা। সামনের রাস্তায় তাকিয়ে সঙ্গে সঙ্গে নীল রঙের ট্যাক্সিটাকে পেয়ে গেলাম
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।