আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

লাখপতি হতে চাওয়া ছেলেটির গল্প.......

বাংলাদেশ ব্লগারস এসোসিয়েশন সদস্য নং: ১০ । facebook.com/milton3d

ছেলেটা একসময় কবিতা লিখতো। কেমন যেন একটা সুকান্ত সুকান্ত ভাব। ভালই লিখতো। কেউ কেউ পড়তো।

চেনা পরিচিতরা হয়ত সাবাস দিতো। একসময় ছেলেটার কবিতা লিখার হাতটা শুকিয়ে গেলো। ভাটা পড়লো সব কিছুতেই। কবিতাতে সুবিধা করতে না পেরে একসময় হতাশায় নিমজ্জিত হয়। কিন্তু ছেলেটার অদম্য ইচ্ছা, কিভাবে সে নিজেকে একটা উঁচু আসনে প্রতিষ্ঠা করবে।

ভাবতে ভাবতে পেয়ে গেল শর্টকাট উপায়। চক চক করে উঠলো তার চোখ। উপায় একটাই, পিছন পথে সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে একটা মোটামোটি নিরাপদ জায়গায় পৌঁছাতে চেষ্টায় চেষ্টা করে। এরই মাঝখানে একবার হোঁচট খেয়ে উল্টেও পড়লো মাটিতে। কেঁদে কেটে ব্লগের কারো কারো কাছে সাহায্য চাইলো সে।

যাই হোক আবারো শুরু হলো পথ চলা। কিন্তু তার সাথে কথা বললে বোঝা যায়, সে খুবই একজন ব্যাক্তিত্ববান পুরুষ। কখনই কারো সাথে যোগাযোগ রাখে না। মোবাইলে কারো নাম নাকি সেইভ করে না। আরো কত কি! তবে খুব ভালো করে খেয়াল করলে দেখা যায়, সে আসলে সব সময় ডুবন্ত একটা মানুষ আর কয়েকটি খড়কুটোকে আঁকড়ে ধরে বেঁচে থাকার এক নিরন্তন চেষ্টা যেন।

ইদানিং মাঝে মাঝে সে বিব্রত হয়, বিধ্বঃস্ত হয়। সেগুলো চিৎকার করে বলে সে। কাউকে সহজে দর্শন দেয় না। শুধু পর্দার আড়াল থেকে, একটা বাঁকা কঞ্চি নিয়ে সামনে বসা লোকগুলোর পশ্চাৎদেশ খোঁচানীতে যেন ব্যাস্ত। আহা! ওতেই এখন তার সুখ।

আহা! অমৃত, অমৃত। তার লিখার পক্ষে সমর্থন যোগাবার জন্য এর ওর কাছে এসএমএস পাঠায়। তার লিখায় একটা প্লাস আর ওমুকের লেখায় একটা মাইনাস, এই করতে করতেই তার মোবাইলের ক্রেডিট লিমিট ক্রস করে। আবার সে নাকি, মেসেঞ্জারেও অনুরোধ করে তার কাছের মানুষগুলোকেও প্লাস/মাইনাসের খেলা খেলতে। দুর্ভাগ্য বশতঃ সেই এসএমএস এর দুই একটি অন্যকারোও মোবাইলে চলে যায়।

আর তখনই ঘটে বিপত্তি। ইদানিং সে নাকি লাখপতি হওয়ার স্বপন দেখে। স্বপন দেখা ভালো। ছেলেটার স্বপন যেন সত্যি হয়। স্বপনের মাঝেই যেন তার বসবাস।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.