অসাধারণ- বৃষ্টি সিক্ত কায়রো,আর ধবধবে সাদা হাত। ভালো লাগে চেনা এই অনুভূতি। আজীবন জীবনের সাথে বৃষ্টির এই লেনদেন। এরপরও বৃষ্টি প্রতিবারিই আসে নতুন হয়ে। কায়রো শহরে বৃষ্টির দেখা খুব একটা পাইনা।
আজকে কয়েক ফোটাঁ বৃষ্টি আমার ব্যালকনি ছুয়েঁ ছিলো। ব্যালকনিতে দাড়িঁয়ে অবারিত চোখ দিয়ে দেখলাম-অজস্র কপোতি হাত বাড়িয়ে আছে বৃষ্টি ছুঁতে। সব ইমারতের ব্যালকনি দিয়ে বাড়িয়ে দেয়া সুতন্বীর ধবধবে ফর্সা হাত যেন -রজনীগন্ধার অবারিত সৌন্দর্যের কানন। কোমল হাতে ফোটাঁ ফোটাঁ বৃষ্টিবিন্দু যেন -ঝমকাল কাচেঁ রংধনুর সাজানো রঙের মেলা। আমি বিস্মিত! আমার আশে- পাশে এত অপসরী! পাশের ব্যালকনির মিষ্টি মেয়েটি হঠাৎ এক মুষ্টি বৃষ্টি আমার দিকে ছুড়ে মারলো।
তারপর সেকি মনমাতানো হাসি। যেন অজস্র কাচেঁর থালার প্রতিযোগি অধপতন। মাঝে মাঝে সিড়িঁতে দেখা হয়। দেখা হলেই ও সালাম দেয়। কিন্তু আমি কথা বলতে পারিনা।
কথা বললেই ওরা সেই ধবধবে সাদা হাত বাড়িয়ে দেয় হ্যান্ডসেক করার জন্য। বৃষ্টি নিয়ে এলো হালকা শীতের পরশ। আমি বাসায় ঢুকে হাত-মূখ মুছে কাশ্মীরী শাল ঝড়িয়ে আবারো ব্যালকনিতে। যেখান থেকে দেখা যায় মনোহরী সৌন্দর্যের আলোক মেলা। আমি শীতে কাতর,আর ওরা একটি পাতলা টি-শার্ট গায়ে দিয়ে উল্লাসে মাতোয়ারা।
হঠাৎ বৃষ্টি ওদের এনে দেয়-উল্লাসের বার্তা। শীত ওদের স্পর্শ করতে পারেনা। কারণ-ওরা বৃষ্টি,ওরা শীত,ওরা ফুল,ওরা রঙের মেলা,ওরা পিপাসার্ত মনের রাশি রাশি জল। ওরা কোমলতার প্রতীক। প্রকৃতি এদের সমীহ করে।
সৃষ্টির আসল রূপতো তারাই। আর এ আসল রূপ-এ সুন্দরের দেখা মেলে বৃষ্টিসিক্ত কায়রোর আমার বাসার ব্যালকনিতে। বৃষ্টি ও নারী- যেন মনমাতানো সুন্দরের মিলিত মিছিল। এ মিলিত মিছিল দেখতে সবাইকে আমার কায়রোস্হ বাসার ব্যালকনিতে নিমন্ত্রন। ফাকে চলবে কফি আর গল্প।
সুতন্বী অবোধ বালিকাদের নির্মল হাসি-সবার জন্য ফ্রী।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।