আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ফরিদ উদ্দীন আত্তারের The Conference of the Birds

বাংলার মাটি বাংলার জল, বাংলার বায়ু, বাংলার ফল, পুন্য হউক, পুন্য হউক, পুন্য হউক, হে ভগবান। বাংলার ঘর, বাংলার হাট, বাংলার বন, বাংলার মাঠ, পুর্ন হউক, পূর্ন হউক, পূর্ন হ্‌উক, হে ভগবান। রবীন্দ্রনাথ

নিশাপুর। কোথায় এটি? ইরানের উত্তর-পুবে। কবি ফরিদ উদ্দীন আত্তারের জন্ম সেখানেই।

১১২০ সালে। তবে তাঁর জন্মমৃত্যুর দিনক্ষণ নিয়ে আজও পন্ডিতদের মধ্যে তর্কবিতর্ক চলেছে। তবে অনেকেরই বিশ্বাস যে প্রায় শত বছর বেঁচে ছিলেন আত্তার। ১২২০ সালে মঙ্গোলদের অভিযানের সময় নিহত হন কবি। নিশাপুরেই কবির সমাধিটি রয়েছে।

যুবা বয়েসেই হজ করেছেন আত্তার। গিয়েছেন মিশর দামাস্কাস ভারত সহ আরও অনেক স্থানে। সবই জ্ঞানান্বষনে। ভ্রমন শেষে স্থায়ী হন নিশাপুরেই। "আত্তার" শব্দের মানে ভেষজবিদ।

তাই ছিল কবির পেশা। শোনা যায় যে তিনি নাকিতার দাওয়াখানায় প্রতিদিন বিপুল সংখ্যক রোগী দেখতেন । নিজেই তৈরি করতেন অষুধ। রোগী দেখার ফাঁকেই নাকি কাব্যচর্চা করতেন। প্রায় ৩০টির মতন সাহিত্যকর্ম আজও টিকে রয়েছে আত্তারের।

কিন্তু তাঁর সর্বশ্রেষ্ঠ রচনা হল "মানতিক আট তায়ের" বা পাখিদের সম্মেলন। এক ঝাঁক পাখি (আসলে কতগুলি মানবাত্মা) একটি আধ্যাত্বিক পাখির নেতৃত্বে উড়ছে। কোন দিকে? সিমুর্গ পাখির খোঁজে। এই সিমুর্গ পাখিই আল্লা। লালনের এই গানটি স্মরণ করুন- কী সন্ধানে যাই সেখানে আমি মনের মানুষ যেখানে আঁধার ঘরে জ্বলছে বাতি দিবারাত্রি নাই সেখানে ... সাতটি উপত্যকা পেরিয়ে পাখিরা উড়ে যাচ্ছে।

যেতে যেতে পাখিগুলি নিজেদের ক্ষুদ্রত্ব আর ভয় উপলব্দি করছে। ৩০ টি পাখি শেষমেষ গন্তব্যস্থলে পৌঁছতে পারে। এবং তারা টের পায় যে -তারা নিজেরাই সিমুর্গ পাখি! লালন যাকে বলেছেন সহজ মানুষ ... আত্তারের শিক্ষার প্রধান দিকই হচ্ছে মানুষের ভিতরের স্বর্গীয়ের সম্বন্ধে সচেতন করা। লালনেরও তাই। ভজ মানুষের চরণ দুটি নিত্যবস্তু হবে খাঁটি ... কাব্য http://www.sacred-texts.com/isl/bp/bp01.htm জীবনী Click This Link


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.