অনেকের মাঝে একা, এখন আর কোন কিছুর অর্থ খুঁজি না। গত সাত মাস ধরে নিজের হাতের রান্না খেতে খেতে আত্মহত্যা করার প্রবনতা বেড়ে গেছে। থাকি ছাদের সাথে লাগানো একটা ৩ রুমের ফ্লাটে। কয়েকদিন থেকেই নিজের হাতের রান্না খাওয়ার পর ছাদ থেকে লাফায় পরতে মন চায়। এমন না যে বুয়া খুঁজি নাই।
কিন্তু অবস্তা এমন যে মনে হয় বুয়া পাওয়ার চাইতে বউ পাওয়া সহজ। একদিন অনেক কস্টে একজনকে ম্যানেজ করে নিয়া আসলাম বাড়ির লোকেশান দেখানোর জন্য। বাড়ির সামনে খাড়াইয়া কইলাম এই বাড়ির সাততলায় বাসা।
বুয়া কইল - "৭ তলা !! , লিফট আছে নি ? "
কথা শুইনা বুকের ভিতর টা ধক কইরা উঠল।
আস্তে আস্তে কইলাম - "নাহ, একটু কষ্ট কইরা সিঁড়ি দিয়া উঠতে হবে।
"
বুয়া কিছুক্ষন চুপ থাইকা "আইচ্চা, কাল থাইকা আসুমনে " বলে চলে গেল। মনে মনে হাপ ছেড়ে বাঁচলাম।
আমার রুমমেট মহা সমারোহে বাজার নিয়া পরেরদিন রেডি...। বুয়া আসার কথা সন্ধ্যা ৬ টায় । একে ৬টা , ৭টা, ৮টা বাজে কিন্তু বুয়ার কোন খবর নাই।
পরেরদিনও সেম কাহিনী। বুঝলাম ৭ তলায় ওঠার ভয়ে বুয়া পল্টি মারছে। নিজের কথা বাদ দিলাম রুম মেটটার কথা চিন্তা করে খারাপ ই লাগল। বেচারার আমার হাতের রান্না আবার খেতে হবে ভেবে চোখ মুখ শুখায়া গেছে।
যাই হোক খোদা এই মাসে মুখ তুলে চাইছে।
নতুন বুয়া পাওয়া গেছে, গতকাল থেকে রান্না শুরু করছে। কিন্তু প্রব্লেম হল কাল বুয়ার পাকানো খাবার খাওয়ার পর টয়লেটের সাথে দূরত্বটা যেন অনেক বেড়ে গেছে। কিছু তেই কিছু হচ্ছে না। মানে ইনপুট ঠিক আছে বাট আউটপুট নাই। বড়ই অসস্তিতে আছি।
মনে হচ্ছে পেটের মধ্যে কোথাও গিট্টূ পাকায় গেছে। শালার ব্যাচেলর লাইফটাই একটা পেইন। মাঝে মাঝে এমুন জিদ লাগে, মনে কয় বিয়া কইরালাই। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।