জীবন এবং স্থাপত্য
এ বইটি শুধুমাত্র স্থাপনা সংক্রান্ত একটি বই নয় কিংবা বইটিতে উল্লেখিত উপাত্ত সাধারণ ভাবনারও প্রকাশ নয় _ এটি একটি মহতী উদ্যোগের চাবিকাঠি। যা একটি জনগোষ্ঠীর পরিকল্পিত জীবনের _ বহি:প্রকাশ।
সত্তর দশকের শুরু। স্থাপনা শিল্পী ইয়ান গেল স্থাপনা বিষয়ে তার বিশেষত্বকে তুলে ধরতে মরিয়া। বহু প্রতীক্ষা ও নিরীক্ষার পর তিনি মানুষের জীবনের মূল্যবোধের তাড়নাকে মূল বিষয় ধরে জীবন-জীবিকা, আনন্দ-বেদনার সাথে শিল্পকে এমন ছকবদ্ধভাবে সাজিয়েছেন, তাতে উঠে এসেছে মূল্যবোধ, শিক্ষা ও অলংকারিত জীবনের একটি যুথবদ্ধ অবস্থা।
ইয়ান গেল এবং তার চিন্তা ও অর্ন্তগত ভাবনা সম্বন্ধে প্রাতস্বিক সৃষ্টিশীলতা যারা জানবেন তাদের মধ্যেই তার সম্পর্কে এক ধরনের শ্রদ্ধার জন্ম নেবে। কারণ স্থাপত্যকলা কীভাবে গণমানুষের সেবায় আসে সেটা স্থপতি ইয়ান গেল-এর অলৌকিক নির্মান শৈলী দ্বারাই বুঝা সম্ভব। স্থাপত্য শিল্প একটি গণবিছিন্ন শিল্পধারা হিসেবে আমাদের সমাজ ও সামাজিকতায় গণ্য হয়ে আসছে। ইট কাঠের মধ্যে আটকে থাকা স্থাপনা শিল্পকে তিনি নিজস্ব আঙ্গিকে তুলে এনেছেন মানুষের কাছে, দিয়েছেন চিনত্দার নতুন দিগনত্দ । তাই আজ তিনি সবার শ্রদ্ধেয় স্বনামখ্যাত একজন শিল্পী হিসেবে বিশ্বে সম্মানিত।
ইয়ান গেলের স্থাপত্য শিল্প না দেখা পর্যন্ত স্থাপত্য শিল্প দেশের প্রতিটি মানুষের জন্য কতটা জরুরী সেটা অনুধাবন কিংবা কতটা গণমুখী তা প্রমান করা সম্ভব নয়। ইয়ান গেলের স্থাপত্য শিল্পের বিকাশ যেমন জড় বা স্থির নয়, তেমনি মানুষের প্রতি তাঁর আস্থা, স্থাপত্য শিল্প সম্বন্ধে বোধ মানুষের ভিতরে সৃষ্টি করেছে সময়শূন্য সত্যতা নির্মানের এক অবিনম্র ব্যাপ্তি। যাকে ইয়ান গেলের একক কৃতিত্ব ও মেধার ফসল বলা যায়। এ বইটি স্থাপত্য শিল্পের একটি ধ্রুপদ গ্রন্থ। যারা স্থাপত্য শিল্পকে প্রথাগত শিল্পের বাইরে ভাবেন সেইসব ভিন্ন বয়সী ও পেশার মানুষের জন্য এ বইটি একটি বহুমাত্রিক শিল্প সমৃদ্ধ সৃষ্টি।
ইটকাঠের জীবনে শুধু কাঠিন্য নয় কোমলতাও আছে, এ অসাধারণ সৃষ্টিশীল গ্রন্থটি আমাদের সে কথাই স্মরণ করিয়ে দিতে সক্ষম। শিল্পের দায়বদ্ধতা, শিল্পিত রূপ আর তার ব্যবহার জনগণের অন্তরের কাছাকাছি নিয়ে যাওয়া_ যা বিচ্ছুরিত জন থেকে জনে।
এই অংশটি ইয়ান গেল এর জীবন এবং স্থাপত্য বইয়ের
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।