গতকালের ফোকাসবাংলার ছবিগুলো ক্লিক করে খুঁচিয়ে দেখছিলাম। প্রতিদিনই পেশাগত কারণে দেখতে হয়। হঠাৎ একটি ছবির প্রতি নজর আটকে গেলো। বিমানবন্দর সড়কে হাজি ক্যাম্পের পাশে হওয়ায় জনৈক মুফতির নেতৃত্বে লালনের ভাস্কর্যের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। তাই প্রশাসন নিজেই এই ভাস্কর্যটি সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
ছবিটি দেখেই বেশ মর্মাহত হলাম। কোন দেশে আছি আমরা ! লালন কে ছিলেন ? এই প্রতিবাদী মুফতিরা কি জানে ? আর প্রশাসনও তাদের প্রতিবাদে কুপোকাত !
ছবিটি ছাপানোর ব্যবস্থা করলাম। আজ দেখলাম প্রথম আলোসহ প্রায়সব পত্রিকাই ছবিটি ছাপিয়েছে।
লালনের আধ্যত্মিক চেতনার মর্মবাণীগুলো যদি আমরা ভালোভাবে রপ্ত করতে পারতাম, তাহলে সমাজ থেকে অনেক অন্যায়-অপরাধ নির্মূল করা সম্ভব হতো। আমরা গুণীর কদর করতে যেমন জানি না তেমনি তাদের দেয়া ভালো জিনিসগুলো নিতেও জানি না।
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে গুণী ব্যক্তিদের স্মরণীয় করে রাখতে ভাস্কর্য তৈরি করা হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে ভক্ত অনুরক্তরা তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায়। বাংলাদেশেও অবশ্যই অনেক ভাস্কর্য রয়েছে। কিন্তু লালনের মতো এই আধ্যত্মিক ব্যক্তির ভাস্কর্য কতিপয় গোঁড়া মুফতির আন্দোলনে সরিয়ে নিচ্ছে খোদ প্রশাসন ! আমরা কোথায় যাচ্ছি ?
আমরা লালনকে যথাযথ সম্মান দেখাতে পারছি না, তার ভাস্কর্যও সরিয়ে নিতে বাধ্য হচ্ছি_ভেবে মনে কষ্ট পাচ্ছি। তবুও এই ব্লগে একটি পোস্ট দেয়া ছাড়া আমারও করার কিছুই নেই! এই দেশের এই সমাজের বিরুদ্ধে আমি একা এর চেয়ে বেশি কিছু করতে পারি না।
তাই নীরবে গেয়ে ওঠি,
লালন তোমার আরশিনগর
আর কত দূর, আর কত দূর.
অচেনা এক পড়শি খোঁজে
কাটল সকাল, কাটল দুপুর..!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।