লেখাপড়া না জানলেই মূর্খ বলি তারেঃ
এমন এক স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে লিখছি, তাতে হয়তো বিতর্কের ঝড় তুলবে। বিতর্ক করতে ভালো লাগে। তবে আমার একটি সমস্যা আছে। সমস্যাটি হলো, বিতর্ক শুরু করে কেটে পড়ি। কারণ হাতে সময় না থাকা।
ব্যস্ততার কারণে নানা প্রশ্নের জবাব দেওয়া সম্ভব হয় না।
কেউ লেখাপড়া না জানলেই মূর্খ বলি তারে। এখনকার সমাজে মূর্খ একটি গালিবিশেষ। দু' হাজার বছর আগেও শিক্ষিত মানুষ তাদের সমাজের ভাবনা ছিল আমাদের মতোই। খ্রিষ্ট পূর্ব ৪ শতাব্দের কূটনীতিবিদ, অর্থশাস্ত্র বিশারদ ও নীতিশাস্ত্রকার চাণক্যের ভাবনাও ছিল একই রকম।
প্রাচীন শাস্ত্র ও সাহিত্য পড়লে মনে হয় মূর্খদের মানুষ বলেই গণ্য করা হতো না। এখন যেমন আমলা মুৎসুদ্দী বুর্জোয়া লুটেরা ধনিক বণিক শ্রেণী কথিত বড় লোকেরা শ্রমিক-কৃষক-খেতমজুর-দিন মজুর-শ্রমজীবী-কর্মজীবী সাধারণ মেহনতি মানুষকে মানুষ বলেই গণ্য করতে চায় না। ওইসব মুৎসুদ্দী বুর্জোয়া লুটেরা ধনিক বণিক শ্রেণীর বড় বড় রাজনৈতিক দলগুলোও শ্রমিক-কৃষক-খেতমজুর-দিন মজুর-শ্রমজীবী-কর্মজীবী সাধারণ মেহনতি মানুষের স্বার্থ রক্ষাকারী ছোট ছোট রাজনৈতিক দলগুলোকে হিসেবেই নিতে চায় না।
শ্রেণীবিভক্ত সমাজে অক্ষরজ্ঞানহীনরা ছিল প্রায় অন্ত্যবাসী পর্যায়ের। তারা শিক্ষিত, উচ্চবর্ণ ও উচ্চবিত্ত পরিবারের সেবায় নিয়োজিত থাকত।
ভারী কাজগুলো তাদেরই করতে হতো। পিরামিত আকৃতির সমাজ কাঠামোতে তারা ছিল ভিত্তি। তাদের চূড়ায় বাস করতো মুষ্টিমেয় কিছুলোক- যারা বর্ণশ্রেষ্ট, শিক্ষিত ও ধনী। শোষণের জন্য শিক্ষাই ছিল তাদের প্রধান হাতিয়ার। এখনো এর ব্যতিক্রম আছে কি?
অগোছালো বিতর্ক শুরু করলাম।
এখন আপনাদের পালা.................
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।