যা তুমি আগামিকাল করতে পার, তা কখনো আজ করতে গিয়ে ভজঘট পাকাবে না...
০১.
একটা গল্পে বেশ নাড়া খেয়েছিলাম অনেক আগে।
গল্পটা এইরকম...
বেশ অনেক আগে দেশের প্রত্যন্ত একটি এলাকার একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য ছিল, প্রতি বছর সেখানকার কোনো না কোনো গ্রামের অন্তত একজন পগল হয়ে যেত। ঘটনাটি সবসময় ঘটত ভাদ্র মাসের তালপাকা গরমে।
এনজিও আর গ্রাম্য টাউট তেমন একটা না থাকাতে সে এলাকার খবর শহুরে খবরের কাগজে পাত্তাও পেত না। বিষয়টি তাই অজানাই থেকে গিয়েছিল।
বছরওয়ারি পাগলের ঘটনা সেখানে অনেকটা প্রাকৃতিক রেওয়াজ হয়ে গিয়েছিল। ফলে যখন কোনো বছর খবর পাওয়া যেত "রসুলপুরের আলাতাফ মুন্সির বড় পোলাডা কেমুন জানি করতাছে..." তখন এলাকার লোকজন ভাবত, এই তো। ঘটনা ঘইটা গেছে। এরপর চায়ের দোকানে, জমির আইলে গ্রাম্য আড্ডার বিষয় হয়ে যেত আলাতাফ মুন্সির বড় পোলা।
এর পাশাপাশি দুই একজন হয়তো মনে মনে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলত।
যাক, আমার মাইঝ্যা মাইয়াডার জ্বর হইছিল তিন দিন আগে। তবুও ডর নাই, এইবার আলাতাফ মুন্সির পোলার উপর দিয়া গেছে।
সেই গ্রামে একদিন আমদানী হল ফজল নামের এক লোক। গ্রামে তো আর বাসা ভাড়া নেয়ার সিস্টেম নেই। গ্রামে স্থায়ী বাসিন্দা এক উপায়েই হওয়া যায়, সেটা হলো ঘরজামাই সিস্টেম।
ফজলও সে গ্রামে গিয়ে "কালু শেখের জামাই" নামটি পেয়ে গেল। ক্রমে তার ফজল নামটি হারিয়ে গেল নতুন পরিচিতির আড়ালে।
"কালু শেখের জামাই" এখন এলাকার নতুন জামাই, গ্রামের সবাই আদর যত্ন করে। সেও সবার সাথে মিশে গেল। বিয়ে হয়েছে শীত কালে।
ক্রমে সে শীত পার হয়ে আম কাঁঠালেও দিনও যখন যায় যায়, তখন আবার পুরোনো সে আশঙ্কা দেখা দিল গ্রামের লোকদের মাঝে। এ ঘটনা এক সময় কালু শেখের জামাইয়ের কানেও গেল। বেচারা সাধাসিধে টাইপের লোক। (নইলে কি আর ঘরজামাই থাকে!) সে বেশ ভয় পেয়ে গেল।
গ্রামের পুরোনো লোকের জন্য যে বিষয়টি অস্বস্তির সেটিই কালু শেখের জামাইয়ের জন্য হয়ে গেল আতঙ্কের।
ইতিমধ্যে আশপাশের গ্রামের পরিচিত লোকদের সে জিজ্ঞেস করল তাদের গ্রামে কেউ পগল হয়েছে কি না। কোনো খোঁজ পাওয়া গেল না। এবার সে স্বল্প পরিচিতদের জিজ্ঞেস করতে শুরু করল। সেখানেও ফল পাওয়া গেল না, নতুন কোনো পাগলের কথা কেউ বলতে পারে না।
এবার তার মাথায় নতুন একটি বুদ্ধি আসল।
এভাবে তো আর হবে না। ভ্রদ্র মাস এলো বলে। আশপাশের দশ গ্রামের সব বাড়ি গিয়ে খোঁজ নিলেও অনেক সময় চলে যায়। সে সোজা বুদ্ধি বের করল। হাটবারে গিয়ে হাটের লোকদের জিজ্ঞেস করতে শুরু করল, তারা কোনো নতুন পগলের খোঁজ দিতে পারে কি না।
হাটের লোকজন প্রথম দিকে তার কথার উত্তর দিলেও কয়েকদিন পর তাকে এড়িয়ে চলতে শুরু করল। এবার তার দরকার পড়ল দৃষ্টি আকর্ষণ করা, নইলে লোকজন তার কথা শোনে না। সে পরনের লুঙ্গি মাথায় পেচিয়ে হাটের মাঝখানের বটতলায় দাঁড়িয়ে গেল। "ভাইসব, ভাইসব, আপনাদের গ্রামে নতুন কোনো পগলের খবর পেলে আমাকে জানায়েন। অন্যদের চিন্তামুক্ত রাখা আমাদের দায়িত্ব... ভাইসব, ভাইসব..."
কথাটি প্রথম তুলল জমির মিয়া।
শুক্রবার জুম্মাঘরে নামাজ শেষে সে পাশের জনকে বলল, হাটের মধ্যে দেইখা আসলাম, কালু শেখের জামাইটা পড়নের লুঙ্গি নিশানের মতো উড়াইতাছে। এই বছর মনে হয় কালু শেখের জামাইয়ের উপর দিয়া গেল।
গল্পটা এখানেই শেষ। অনেক দিন আগে শুনেছিলাম বা পড়েছিলাম।
০২
ওপরের গল্পটি আজ আবার মনে করিয়ে দিলেন ব্লগার রহমান হেনরী।
ব্যান খেয়ে তিনি সব ব্লগাররে সাবধান করছেন
বিশ্বাস না হয়, নিচের লিঙ্কগুলায় দেখুন
অসময়ের হাইকুরা লিখেছেন নীরব
Click This Link
হাতুড়ি ব্লগ এবং একটি হাতুড়িয় ইতিবৃত্ত লিখেছেন জটিল Click This Link
সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে ইউনূস খান লিখেছেন লোকটিকে বাঁচানো গেলোনা
Click This Link
স্বাধীন ০৮ লিখেছেন ধর্মীয় পোস্ট নিষিদ্ধ করে দিলে কেমন হয়? Click This Link
আশ্চর্য্য! প্রিয় নবীরে কে কি কইছিল!! লিখেছেন লাল দরজা Click This Link
কনসার্ট ফর বাংলাদেশ নিয়ে লিখেছেন অসমাপ্ত
Click This Link
ব্লগার মিলটন লিখেছেন তার দুই বেলার ঈদ নিয়ে
Click This Link
বৃষ্টির কমনসেন্স নিয়ে লিখেছেন কৌশিক
Click This Link
হোসেইন লিখেছেন আগের বছরের পাগল মহাকবি মেহেদী কে নিয়ে
Click This Link
এরকম আরো কতো পোস্টে উনি পায়ের ধূলা রাখছেন এক মাবুদে এলাহী জানেন। ব্লগে আসতে না আসতেই "পেলাডা আউলা হইয়া গেল গা"।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।