শনিবার সকালে বাসে সিট নিয়ে ছাত্রদলের দুই কর্মীর সঙ্গে ছাত্রলীগের এক নেতার কথা কাটাকাটির জের ধরে সংঘটিত এই সংঘর্ষে পরে ছাত্রদলের সঙ্গে শিবির যোগ দেয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়।
এক পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে ব্যাপক ভাংচুর চালায় ছাত্রদল ও শিবির। পরে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও রবার বুলেট ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার ওসি মনিরুজ্জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ”
আহতদের বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টার ও কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
এর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিম্নমান সহকারী সহকারী জিয়াউল হক ও ছাত্রলীগকর্মী শামীমের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সকালে বাসের সিট রাখা নিয়ে শেখপাড়া বাজারে ছাত্রলীগের আগের কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও বর্তমান কমিটির সদস্য রাসেল জোয়ার্দারের সঙ্গে ছাত্রদলকর্মী সোহাগ ও রনীর কথা কাটাকাটি হয়।
এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে কর্মীদের নিয়ে ছাত্রদলের টেন্টে হামলা চালিয়ে সোহাগ ও রনীকে মারধর করেন রাসেল। তখন ছাত্রদল সংগঠিত হয়ে তাদের ধাওয়া করলে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়।
ছাত্ররা জানায়, এরপর ছাত্রদল নেতা-কর্মীরা সাদ্দাম হলের সামনে গিয়ে জড়ো হলে শিবির তাদের সঙ্গে যোগ দেয়।
তারপর তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে হামলা ও ভাংচুর করে।
প্রশাসনিক ভবনের সামনে থাকা আটটি মোটর সাইকেল ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয় বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. জাহাঙ্গীর হোসেন জানিয়েছেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।