soroishwarja@yahoo.com
আমার বয়স যখন সাতাশ তখন আমার মাথায় একটা ভূত চেপেছিল। তখন আমি ময়মনসিংহে থাকি। ময়মনসিংহ শহরের পাবলিক লাইব্রেরিতে এসে প্রায়ই বিভিন্ন ধরনের বই নিয়ে যাই। পাবলিক লাইব্রেরির তাক থেকে পছন্দের বইটা খুঁজে বের করা যে কী কঠিন তা ভুক্তভোগীরা জানেন।
তো, একদিন পাবলিক লাইব্রেরির সমাজ ও মনস্তত্ত্ব বিষয়ক বইয়ের তাকে কিছু বই দেখে আমার চোখ আটকে যায়।
এখন সেই বইগুলোর সব কটির নামও মনে নেই।
ততদিনে আমার যৌনতা বিষয়ক সাধারণ জ্ঞান (তত্ত্বীয় ও ব্যবহারিক) লাভ করা হয়ে গেছে। পড়ে ফেলেছি বিদুৎ মিত্রের `যৌন বিষয়ে সাধারণ জ্ঞান', জেবিএম জাফর সাদেকের `পুরুষের যৌন সমস্যা ও তার চিকিৎসা', ঋষি বাৎসায়নের কিছু আসনকলার সচিত্র বিবরণ এবং আবুল হাসনাতের `যৌনবিজ্ঞানে'র তিন খণ্ড। এসবের ফাঁকে ফাঁকে ভিসিডিতে পর্নোগ্রাফি দেখা, চটি পাঠ ইত্যাদিও হয়েছে। কিন্তু পাবলিক লাইব্রেরির তাকে সাজানো `সেক্স অ্যান্ড সোসাইটি'র মতো পুস্তকগুলো পড়া হয়নি তখনো।
পাবলিক লাইব্রেরি থেকে সেই বইটি নিয়ে আমি গোগ্রাসে পড়তে চাইলাম। ইংরেজি জ্ঞান ভালো না হওয়ায় সেভাবে পড়া হল না। তবে ধৈর্য সহকারে পড়ে শেষ করলাম ঠিকই।
এরপরই আমারও একটি বই লেখার তীব্র ইচ্ছা জাগল। আমার সাতাশ বছরের জীবনে যৌনতার অভিজ্ঞতাগুলো সামাজিক প্রেক্ষাপটসহ একটি বইয়ে উপস্থাপনের ইচ্ছা থেকে বইটির নামও ঠিক করলাম: `সাতাশ বছরের যৌনতা'।
কিছুদূর বইটি লেখাও হল। নিজের কাছে এই বই লেখার যুক্তি হচ্ছে, সাতাশ বছরের এক যুবকের যৌনতা ও সমাজকে একসঙ্গে পারস্পরিক সম্পর্ক ও বিরোধের দিকগুলো ধরে উপস্থাপন করা। আমার কিছু লিখিয়ে বন্ধুর সঙ্গে এ নিয়ে পরামর্শও করলাম। তারা কেউই আমাকে উৎসাহিত করল না। তারা বলল, এই বই লিখলে সামাজিক জীবনে তুমি সমস্যায় পড়বে।
সাতাশ বছর পেরিয়ে এসেছি। কিন্তু ওই বইটি লেখার ইচ্ছা থেকে বেরিয়ে আসতে পারিনি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।