দৈনিক যায়যায়দিনে সৈয়দ আমিরুজ্জামানের লেখা "সরকার উপজেলা নির্বাচন আগে করতে চাচ্ছে কেন?" শীর্ষক নিবন্ধটি পড়লাম।
আপনাদের জন্য লিংকটি শেয়ার করছিঃ
http://www.jaijaidin.com/details.php?nid=92642
পাশাপাশি হুবহু প্রকাশিত লেখাটি নিম্নরূপঃ
সরকার উপজেলা নির্বাচন আগে করতে চাচ্ছে কেন?
প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, সংবিধান পরিবর্তনের জন্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে তা করা হবে। বস্তুত রাজনৈতিক দলের পরামর্শ ও অভিমতকে যে গুরুত্ব দেয়া হয় না, তা তো সংলাপ থেকেই বোঝা গেছে। যখন সংবিধান পরিবর্তনের প্রশ্ন ওঠে, যখন জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের কথা নতুন করে ওঠে, যখন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার বণ্টনের প্রশ্ন ওঠে, তখনই একই সঙ্গে আরো অনেক প্রশ্ন জেগে ওঠে এবং সৃষ্টি হয় সঙ্কট। দেশের ভালোর জন্য, জনগণের মঙ্গলের জন্য সংবিধান যদি পরিবর্তন করতেই হয়, তবে তা করবে জনগণ ও জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা।
অনির্বাচিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের এসব বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করা অসাংবিধানিক।
--সৈয়দ আমিরুজ্জামান
কোনো রকম গোলযোগ ছাড়াই চারটি সিটি করপোরেশন ও নয়টি পৌরসভায় নির্বাচন হয়ে গেল। বলা যায়, ভালোভাবেই হয়েছে। বড় রকমের কোনো অভিযোগও নেই। বরিশালের নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক উঠলেও সেটা তেমন আমলে নেয়ার মতো নয়।
ভোটারের অংশগ্রহণ ছিল খুব বেশি। কেন্দ্রীয়ভাবে বয়কটের ঘোষণা দিলেও বিএনপি প্রার্থী অংশগ্রহণ করেছেন একাধিক এলাকায়। অনেকে মনে করেন দ্বিধাবিভক্ত বিএনপি এখন সাংগঠনিকভাবে কিছুটা দুর্বল বলে আওয়ামী লীগ ভালো করেছে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয় যে, এটা একটা টেস্ট কেস। টেস্টে উত্তীর্ণ হয়ে তারা বেশ তৃপ্তি প্রকাশ করেছে।
তারা একই সঙ্গে আরেকটা দাবি করেছে, জরুরি অবস্থার মধ্যেও নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে করা যায়। অতএব জরুরি আইন বহাল থাকবে এবং জাতীয় নির্বাচন জরুরি অবস্থার মধ্যেই হবে। প্রয়োজনে কিছুটা শিথিল করা হবে। জরুরি আইনকে যুক্তিসিদ্ধ করানোর জন্যই হয়তো এমন একটা নির্বাচন করানো দরকার ছিল। এ কয়টি এলাকায় এভাবে স্থানীয় নির্বাচন করানোর পেছনে এ উদ্দেশ্যটি কাজ করেছে বলে অনেকেই মনে করছেন।
আমাদের অভিজ্ঞতা থেকে যে কথাটি স্পষ্ট করে বলা যায় তা হলো, যেহেতু ১৩টি এলাকায় জরুরি অবস্থা শিথিল করে প্রকাশ্য সভা-মিছিল করার অধিকার দেয়ার ফলে কোনো রকম বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়নি তাহলে জনমনে প্রশ্ন, জরুরি অবস্থা পুরোপুরি প্রত্যাহার করা হলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় অসুবিধা হবে কেন? এ নির্বাচনের অভিজ্ঞতা থেকে দাবি করতে পারি যে, জরুরি আইনের প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়ে গেছে। কোনো সভ্য দেশে জরুরি আইন অবশ্যই কাঙ্খিত হতে পারে না, যা মৌলিক মানবিক ও গণতান্ত্রিক অধিকারকে অস্বীকার করে। জনগণকে শৃঙ্খলিত রেখে সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া চালু করা যায় না। গণতান্ত্রিক অধিকার, নাগরিক অধিকার মানুষের জন্মগত অধিকার, যা সংবিধানেও স্বীকৃত। জনগণকে শৃঙ্খলিত করে গণতন্ত্রের শিক্ষা দেয়া যায় না।
এ ধরনের প্রচেষ্টা জনগণের সঙ্গে এক প্রহসন ছাড়া আর কিছুই নয়। নির্বাচনের সময় কয়েকটা দিন সভা-মিছিলের সুযোগ দেয়া মানে পরিপূর্ণ গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করা বোঝায় না। সেনাসমর্থিত এ তত্ত্বাবধায়ক সরকার আসলে সুশাসন প্রতিষ্ঠার নামে সাম্রাজ্যবাদ ও লুটেরা বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর স্বার্থ রক্ষার নিমিত্তে 'শৃঙ্খলিত ও নিয়ন্ত্রিত মুৎসুদ্দি বুর্জোয়া গণতন্ত্র'-এর পথে অগ্রসর হতে চায়, যা বাস্তবে গণতন্ত্রেরই অস্বীকৃতি। এটা মেনে নেয়া যায় না। এখন পর্যন্ত প্রায় সব ক'টি রাজনৈতিক দল জরুরি আইনের অধীনে নির্বাচন করা চলবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে।
তারপরও সরকার কেন জরুরি আইন বলবৎ রেখেই নির্বাচন করতে চায়?
সরকার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে প্রাক-সংলাপ ও সংলাপ করেছে। নির্বাচন কমিশনও এ ধরনের সংলাপ করেছে। সংলাপের উদ্দেশ্য হলো কোনো একটা সমঝোতায় পৌঁছানো। সব রাজনৈতিক দল জরুরি আইন তুলে নেয়ার দাবি জানিয়েছে। কিন্তু তত্ত্বাবধায়ক সরকার সংলাপে উত্থাপিত সব দলের দাবি উপেক্ষা করে নিজের কাজটি করে চলেছে।
আসলে সংলাপ হচ্ছে লোক দেখানো ব্যাপার। সরকারের যা পরিকল্পনা, যা ইচ্ছা, তাই তারা করে যাচ্ছেন। এ তো এক স্বেচ্ছাচারতন্ত্র। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপকেই যদি সরকার গুরুত্ব দিয়ে থাকে, তবে এখনি জরুরি আইন প্রত্যাহার করা উচিত। প্রায় সব দল বলেছে, সবার আগে জাতীয় সংসদ নির্বাচন চাই।
সংলাপের মধ্য দিয়েও তা উঠে এসেছে। তবু সরকার উপজেলা নির্বাচন আগে করতে চাচ্ছে কেন? তাহলে এতো ঘটা করে সংলাপের দরকার কি ছিল? তত্ত্বাবধায়ক সরকার সংবিধান প্রদত্ত দায়িত্বের ও ক্ষমতার অতিরিক্ত কাজ করছে কেন অথবা প্রয়োজনটাইবা কী?
তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রথম থেকেই একটা আওয়াজ তুলেছিল, পুরনো দিনের অনেক জঞ্জাল পরিষ্কার করে তারা এমন একটা নির্বাচন উপহার দেবে, যাতে সৎ ও যোগ্য প্রার্থীরা বিজয়ী হয়ে আসতে পারেন। এ নির্বাচন যদি সেটার টেস্ট কেস হয়ে থাকে, তাহলে তো বলতে হয় সরকার চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। অবশ্য একথা সরকারের কেউ কেউ প্রকারান্তরে স্বীকারও করেছে। এ সরকারই যাদের দুর্নীতিবাজ বলে জেলে পুরেছে, মামলা দিয়েছে, তাদেরই অধিকাংশ নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন।
এ থেকে সহজেই ধারণা করা যায়, আগামী উপজেলা ও সংসদ নির্বাচনেও এর খুব বেশি ব্যতিক্রম হবে না। দুর্নীতি নির্মূল অভিযানে সরকার নিজেও কতোটা আন্তরিক তা নিয়েও জনমনে সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে। সরকারের নীতির মধ্যেও একেক সময় একেক ধরনের ভাব দেখা যায়। কখনো মনে হয়েছে, সরকার বড় বড় দুর্নীতিবাজের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযানে নেমেছে। কখনো মনে হয়েছে, সরকার তাদের সঙ্গেই আপস করে চলেছে।
আসল কথা হলো, দুর্নীতির বিষয়টি ছিল সরকারের একটা কৌশল মাত্র। দুর্নীতির কথা বলে রাজনীতিবিদদের লোকচক্ষে হেয় করাই তাদের পরিকল্পনার অংশমাত্র। দুর্নীতিবাজদের শাস্তি হোক, তা আমরা চাই। সেই দুর্নীতিবাজ যদি রাজনীতিক হন, তারাও যেন রেহাই না পান, সেটাও আমরা চাই। কিন্তু বিগত দিনের রাজনীতিবিদদের দুর্নীতি ও অপকর্মকে তুলে ধরার নামে বিরাজনীতিকরণের প্রক্রিয়া চালু করাই যদি উদ্দেশ্য হয়, তবে তা এখনই প্রতিহত করতে হবে।
এক দল দুর্নীতিবাজের বদলে আরেক দল দুর্নীতিবাজের শাসন জনগণের কাম্য নয়। আমরাও চাই না।
সেনাসমর্থিত ও নিয়ন্ত্রিত এ অনির্বাচিত সরকার যে প্রথম থেকেই সমাজকে বিরাজনীতিকরণের পথে নিয়ে যেতে চেয়েছে, তার অনেক প্রমাণ আছে। যার একটি হলো জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে অরাজনৈতিক ভিত্তিতে স্থানীয় সরকারের নির্বাচন করানো। অথচ স্থানীয় সরকার নির্বাচন অরাজনৈতিক হতে পারে না।
পৌরসভা, উপজেলা, জেলা পরিষদ, সিটি করপোরেশন, ইউনিয়ন পরিষদ ইত্যাদি রাষ্ট্রীয় কাঠামোর অংশ বিশেষ। তা কোনো অরাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান নয়। বরং স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন ব্যাপারে রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি থাকা উচিত। তাই নির্বাচনও রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ ও প্রার্থী মনোনয়নের ভিত্তিতে হওয়া বাঞ্ছনীয়। এছাড়া দেশে টেকসই গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা, সৎ ও যোগ্য প্রার্থী বিজয়ী করতে হলে সব প্রার্থীর নির্বাচনী ব্যয় সরকার ও কমিশন তথা রাষ্ট্রকেই বহন করতে হবে।
কিন্তু নির্বাচন কমিশন বলে বসলো, স্থানীয় সরকারের কোনো পদে কেউ নির্বাচিত হলে তাকে রাজনৈতিক দলের পদ ছাড়তে হবে। এমন হুকুমনামা জারি করার অধিকার তাদের আছে কি? এ ধরনের আইন ও হুকুমনামা জারি তো সংবিধানের পরিপন্থী। সরকার ও নির্বাচন কমিশন দেশবাসীকে অরাজনৈতিক করে তোলার প্রয়াসে আমাদের যেন নতুন করে গণতন্ত্র শেখাচ্ছে। এতে করে তাদের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। তবে আশার কথা যে, স্থানীয় নির্বাচন রাজনৈতিক দলের ভিত্তিতে হতে পারে বলে সম্প্রতি হাইকোর্ট রায় দিয়েছে।
উপজেলা নির্বাচনকেও দলবিহীনভাবে অনুষ্ঠিত করার লক্ষ্যও তাই। এর উদ্দেশ্য হলো জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই বর্তমান শাসকগোষ্ঠীর জন্য একটা সাপোর্ট বেস তৈরি করা। কিংস পার্টি বলে একটা কথা বেশ চালু আছে। বর্তমান শাসকগোষ্ঠী সেই কিংস পার্টি করতে ব্যর্থ হয়েছেন। এখন উপজেলা নির্বাচনের মাধ্যমে রাজনৈতিক দলবিহীন লোকদের সমন্বয়ে সমর্থকগোষ্ঠী দিয়ে কিংস পার্টি তৈরি করতে সচেষ্ট রয়েছে।
আর এজন্যই তো উপজেলা নিয়ে তাদের এতো আগ্রহ ও তৎপরতা।
সরকারের কার্যক্রম ও ঘটনাপ্রবাহ খুব ভালোর দিকে যাচ্ছে না। ১৩টি স্থানীয় সরকার নির্বাচনে সাফল্য দাবি করলেও ভবিষ্যৎ নির্বাচন নিয়ে সংশয় কিন্তু এখনো রয়ে গেছে। সবচেয়ে বড় কথা, সরকারের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়েই সংশয় ও বিভ্রান্তি রয়ে গেছে। আর এ বিভ্রান্তি তো তারাই সৃষ্টি করেছেন ও করে চলেছেন।
সরকারের মুখপাত্র শিক্ষা ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. হোসেন জিল্লুর রহমান সাংবাদিকদের সামনে খুব সুন্দর করে গুছিয়ে কথা বলেন। সব সময় তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন ও সব প্রশ্নেই 'হচ্ছে বা হবে' ধরনের মন্তব্য করেন। কিন্তু শিক্ষা ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. হোসেন জিল্লুর রহমানের কথার মাঝে অনেক ফাঁক তো থেকেই যায়। কিন্তু তিনি তা বুঝতে পারেন কি না কে জানে। শাক দিয়ে তো আর মাছ ঢাকা যায় না।
ড. হোসেন জিল্লুর রহমানের মুখে বারবার আশাবাদের কথা প্রকাশ পাওয়া সত্ত্বেও জনমনে প্রশ্ন থেকে যায়। মানুষ কথায় নয়, কাজে ফল দেখে বুঝতে চায়। প্রধান উপদেষ্টা ড. ফখরুদ্দীন আহমদও খুব চমৎকার সুন্দর কথা বলেন। ভালো বক্তা ও সাহিত্যিক হিসেবে তার গুণের প্রশংসা করা যায়। কিন্তু প্রশাসক হিসেবে তার প্রশংসা করা গেল না।
গত দেড় বছরে সরকার চরম ব্যর্থ। কারণ তারা যে উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করছেন, সেটা গণতন্ত্রসম্মত নয়। কিছুদিন আগে শ্রীমঙ্গল, সিরাজগঞ্জ ও রাজশাহীতে সংলাপ অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন। তিনি সংবিধান পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়েছেন। দেশকে একটি 'নিয়ন্ত্রিত গণতন্ত্রের' পথে নিয়ে যাওয়ার উদ্দেশে এ সরকার গত বছরের জানুয়ারি থেকেই ধারাবাহিকভাবে কাজ করে চলেছে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, সংবিধান পরিবর্তনের জন্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে তা করা হবে। বস্তুত রাজনৈতিক দলের পরামর্শ ও অভিমতকে যে গুরুত্ব দেয়া হয় না, তা তো সংলাপ থেকেই বোঝা গেছে। যখন সংবিধান পরিবর্তনের প্রশ্ন ওঠে, যখন জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের কথা নতুন করে ওঠে, যখন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার বণ্টনের প্রশ্ন ওঠে, তখনই একই সঙ্গে আরো অনেক প্রশ্ন জেগে ওঠে এবং সৃষ্টি হয় সঙ্কট। দেশের ভালোর জন্য, জনগণের মঙ্গলের জন্য সংবিধান যদি পরিবর্তন করতেই হয়, তবে তা করবে জনগণ ও জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা। অনির্বাচিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের এসব বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করা অসাংবিধানিক।
এমনিতেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইতিমধ্যেই সংবিধান প্রদত্ত ক্ষমতার বাইরে অনেক দূর এগিয়ে গেছে। আর বেশি এগোলে জনগণ তা মেনে নেবে না। এ বোধোদয় সরকারের কর্তাব্যক্তিদের যতো দ্রুত হবে ততোই দেশের জনগণের জন্য মঙ্গল হবে বলে অভিজ্ঞদের অভিমত।
সৈয়দ আমিরুজ্জামানঃ গবেষক, কলাম লেখক।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।