দাগ খতিয়ান নাইতো আমার/ঘুরি আতাইর পাতাইর...
প্রতি রমজানে মিডল ঈস্টের বিভিন্ন দেশ ধর্মীয় সহমর্মিতা থেকে আমাদের দেশে ইফতারের জন্য মরুর দেশের সুস্বাদু খেজুর পাঠিয়ে থাকে। বাংলাদেশে প্রতি বছরই আসে এমন খাঁটি খেজুর। সরকারের ত্রাণ ও পুনর্বাসন শাখার মাধ্যমে দেশের প্রত্যেক জেলার ইউনিয়নে চেয়ারম্যানের মাধ্যমে তা বণ্ঠন করা হয়। চেয়ারম্যানদের আদেশ দেওয়া হয় মসজিদ বা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে দুস্থ রোজাদারদের তা দিয়ে ইফতার করানোর জন্য। কিন্তু কোনো মাননীয় (?) চেয়ারম্যান মহোদয়ই মরুর দেশের এই সুস্বাদু খেজুরের লোভ সংবরণ করতে না পেরে রোজাদার দুস্থদের বঞ্চিত করে নিজেরা ভোগ করেন।
যাদের জন্য এই ইফতার ভিক্ষা দেয় মিডল ঈস্ট তারা এর খবর জানেনা কখনো। আয়োজন আবার অনেকে ফুটানি দেখাতে``বেয়াইনবাড়িও'' ও এর প্যাকেট পাঠিয়ে দেন। বেয়াইনদের উদ্দেশ্যে বলেন, মরুর দেশ থেকে আপনাদের জন্য এই খাঁটি (খেজুর) তবারক। বেয়াই-বেয়াইনরাও তবারক পেয়ে দারুণ খুশি।
এরকমই এক ঘটনা ঘটেছে সুনামগঞ্জের এক ইউনিয়নে।
চেয়ারম্যান দুই কার্টন খেজুর তুলে এক কার্টন পাঠিয়ে দেন তার বেয়াইন বাড়ি। কার্টনের সঙ্গে একটি ছোট চিরকুট লিখে দেন ``সুদূর সৌদি আরব থেকে আপনাদের সম্মানে আনিয়েছি। গ্রহণ করে কৃতার্থ করবেন...। ''
শোনেছি প্রতি বছর এরকমই নাকি হয়। কোরবানী ঈদে দুম্বার েেত্রও এ রকম হয় বলে জানা গেছে।
আমাদের স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা ভিজিডি ভিজিএফ ও স্থানীয় বিভিন্ন উন্নয়নের বরাদ্দ মারতে মারতে এই সামান্য জিনিষেরও লোভ ছাড়তে পারেন না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।