শনিবার সকালে শুরু হয়ে দিনভর ভোটগ্রহণ চলে।
ভোটগ্রহণ শেষে নির্বাচনী কর্মকর্তারা জানান, প্রায় ৬৫ শতাংশ ভোট গণনা শেষ হয়েছে। তাতে অ্যাবোটের লিবারেল-ন্যাশনাল পার্টি ৫৪ শতাংশের মতো ভোট পেয়েছে।
অস্ট্রেলিয়া পার্লামেন্টের ১৫০ আসনের মধ্যে লিবারেল-ন্যাশনাল পার্টি অন্তত ৭৭টিতে জয় পাচ্ছে বলে বুথ ফেরত জরিপে বলা হয়েছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, অ্যাবোটের নেতৃত্বাধীন দল প্রতিদ্বন্দ্বীদের চেয়ে ৪০টির মতো বেশি আসন পেতে যাচ্ছেন।
এর মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর একক সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে সরকার গঠন করতে যাচ্ছে তারা।
স্বতন্ত্র ও গ্রিনদের সমর্থন নিয়ে গত তিন বছর ক্ষমতা টিকিয়ে রেখেছিল লেবার পার্টি।
সাবেক বক্সার অ্যাবোট রোডস স্কলারশিপ নিয়ে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেন। এক সময় ধর্মযাজক হওয়ার চেষ্টা করেন তিনি।
নির্বাচনী প্রচারণায় এই রক্ষণশীল নেতা দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি কর কমানো এবং নৌযানে সাগরপাড়ি দিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় আশ্রয় প্রার্থীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
মাত্র তিন মাস আগে লেবার পার্টির নেতৃত্ব পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে তিন বছর পর আবার প্রধানমন্ত্রী পদে ফিরে আসেন কেভিন রুড। ২০১০ সালে পার্টির নেতৃত্ব পরিবর্তনের মধ্য দিয়েই রুডকে সরিয়ে দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হন জুলিয়া গিলার্ড।
সরকারের শেষ সময়ে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে আসা রুড নির্বাচনে জয়ের জন্য জোর প্রচারণা চালালেও শেষ রক্ষা হয়নি ক্ষমতাসীনদের। এই ভোটের মধ্য দিয়ে তাদের ছয় বছরের শাসনের অবসান হতে চলেছে।
অস্ট্রেলিয়ার পূর্বাঞ্চলে স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে সন্ধ্যা ৬টায় শেষ হয়।
আর পশ্চিমাঞ্চলে দুই ঘণ্টা পর ভোটগ্রহণ শুরু হয়, শেষও হয় দুই ঘণ্টা পর।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।