তোমাকে যদি কেউ কষ্ট দেয়, তাহলে মনে ব্যাথা নিওনা। কারণ, মানুষ সবসময় গাছের মিষ্টি ফলটিকেই ঢিল মারে। এখন ব্লগে লগ ইন করে আমার শুধু কান্না পাচ্ছে। আমি জানিনা আমি কি লিখব বা কিভাবে লিখা উচিৎ। বেশ কয়েকটি পোষ্ট পড়লাম।
আগামীকালের হরতাল ও যুদ্ধাপরাধের বিচার বিষয়ে আওয়ামীলীগ ও জামায়াতে ইসলামী বা ছাত্র শিবির'রা একে অপরের মুখোমুখি ভার্চুয়াল জগতেও। তাও যেনতেন মুখোমুখি নয়, একেবারে মারমুখী। এই মুহুর্তে যদি একে অপরের সামনে থাকতো তবে কি না লঙ্কা কান্ড ঘটে যেত।
আমি বলতে চাই, যারা এখন ভার্চুয়াল প্রতিবাদে মুখর এরা তো আমাদেরই নতুন প্রজন্ম। এরা হয়তো বড়জোড় ২০-২৫ বছর বয়সী হবে।
কিন্তু কেন বা কিসের মোহে এরা একে অপরের বিরুদ্ধে এভাবে মুখোমুখি অবস্থান নিলো?
আমাদের গর্বিত মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ করেছে, জামায়াতে ইসলামী বা ছাত্রশিবির কেন চাচ্ছে না যে তাদের বিচার হোক? এ ধরনের অপরাধের একটি বিচার হলে জামায়াতে ইসলামী অনেকটাই নির্ভার হয়ে জনগণের সামনে যেতে পারবে। তাদেরকে আর মুক্তিযুদ্ধকালীন কোন বিষয় নিয়ে জনগণের সামনে বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হবে না।
আর আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে যে বিচার কার্যটি হচ্ছে, সেটার ব্যাপারে আন্তর্জাতিক অনেক দেশের কিংবা আমাদের অন্যতম বৃহৎ যে দুটি রাজনৈতিক দল বিএনপি ও জামায়াত এর যে আস্থার অভাব রয়েছে তাদেরকে কেন আস্থায় না নিয়ে এতো বড় এবং স্পর্শকাতর একটি বিচার কাজ চলছে (আমি এটা বলতে চাচ্ছি না যে, এটা চলা উচিত নয়)? আওয়ামীলীগ যদি পদ্মা, শেয়ার, হলমার্ক, ছাত্রলীগ/যুবলীগ, দ্রব্যমূল্য এবং আরো অন্যান্য বিষয়ে সফলতা অর্জন করত তবে এই মহৎ বিচার কার্যটির বিষয়ে অপর দুটি বড় রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে সহজেই আস্থায় নেয়া সম্ভব হতো। আওয়ামীলীগ যদি ৯৬'এ ক্ষমতায় এসে কেন মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধীদের বিচার করেনি কিংবা তারা কেন ৯৬ পূর্ববর্তী সময়ে জামাতের সাথে যুগপদ আন্দোলন করেছে তার ব্যাখ্যাটাও জনগণকে দিত তবে আরো অনেক সহজ হতো বর্তমান বিচার কার্যটি পরিচালনা করার জন্য। সরকারকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে, বর্তমানে যাদের বিচার কার্য চলছে তারা জামাত বা ছাত্রশিবিরের আদর্শিক নেতা।
পরিশেষে বলবো, পদ্মা ব্রীজের জন্য টাকা সংগ্রহ করতে গিয়ে বিশ্বদ্যিালয়ের ছাত্র নিহত বা গত হরতালে ছাত্রশিবিরের ৩ জন নিহত, কার লাভ হয়েছে বা কার ক্ষতি হয়েছে একটু ভেবে দেখবেন কি আপনারা, যারা এখন ভার্চুয়াল যুদ্ধে লিপ্ত?????????? ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।