২০০৬ সালের কথা। বেড়াতে গিয়েছিলাম বেইজিং আর হংকং।
বেইজিং পৌঁছে হোটেলে জিনিষপত্র রেখে প্রথম কাজ ছিল আগে পিজ্জার দোকান খুঁজে বের করা। তা না হলে পিচ্চির খাবারের কোন কিনারা হচ্ছিল না। ভাগ্য ভালো, আমরা যেখানে ছিলাম -"ওয়াং ফুজি্য়ান স্ট্রীটে" তার কাছেই বিশাল পাবলিক প্লাজা।
বিখ্যাত সব খাবার দোকান ই আশেপাশে।
দেখে শুনে ঢুকে পরলাম পিজ্জা হাটে। মোটামুটি চেনা পরিচিত আইটেম থেকেই অর্ডার দিয়ে অপেক্ষার পালা। আশপাশ দেখছি....। চোখে পরলো সালাদ বার।
ঢাকার পিজ্জা হাটেরটা যারা দেখেছেন, অনেকটা তেমনই ; কিম্তু আরো বড়; অনেক সবজি আর রকমারি হাফ কুকড আইটেম । যারা নিচ্ছিল তাদের দেখেই বুঝে গেলাম, এখানেও ওয়ান টাইম নেয়ার সিস্টেম, মানে একটা নির্দিস্ষ্ট আকারের বাটি ভরে একবার ই নেয়া যাবে। একটু চ্যাপ্টা সূপের বাটির মতো। একটু মনোযোগ দিয়ে খেয়াল করতে গিয়ে আমরা পুরো পরিবার মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে দেখতে লাগলাম এক্রোব্যাটিক কান্ডকারখানা। একটা ১৮/১৯ বছর বয়সের ছেলে মেয়ের জুটি হবে।
ছেলেটা একটাই বাটি নিয়েছে দুজনের জন্যে, দুজনে একসাথে বাটিটা পূর্ণ করছে। ব্যাপারটা পুরাপুরি শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গেছে দুজনে। প্রথমে গোল করে লম্বা সবজিগুলি (গাজর, শশা, ইত্যাদি) বসিয়ে বাটির বেইজটা অন্তত তিন গুণ করে নিল। এরপর স্তরে স্তরে বীনস, ফ্রুটস, লেটুস। আবার একটা লেয়ার পর আয়তন বাড়ানো!! এরি মধ্যে দেখি আমরা ছাড়া আরো দর্শক জমে গেছে এই ফুড এক্রোব্যাট দেখার জন্য।
অনেক্ষণ পরে যখন তারা ক্ষ্যান্ত দিল তখন । ৩" উঁচু বাটির আকার হয়েছে ১২" উপরে। একবাটিতে অন্তত ৪ জনের খাবার জমা হয়েছে।
বিজয়ের হাসি হেসে তারা এবার সালাদ বার ত্যাগ করলো!! আশেপাশের ২/১ জন মনে হয় হালকা তালিও দিয়েছিল!! পিজ্জা হাটের লোকদের রিএ্যাকশন দেখে মনে হলো, তারাও এই কার্যকলাপে অভ্যস্ত্। আমাদের খাওয়া শেষ করার আগেই ওরা উঠে গিয়েছিল- তখন চোখে পড়লো সালাদ বাটির প্রায় অর্ধেকটাই অসমাপ্ত।
এই ফাঁকে একটু যোগ করতে চাই- ঢাকার পিজ্জা হাটে গেলে আজকাল আমিও ঐ শিক্ষা কাজে লাগাই!! একটা বাটিতেই দুজনের বেশ হয়ে যায় দেখি।
(ছবিগুলি নেট থেকে নেয়া। তখন আমার ছবি তোলা হয়নি। কিন্তু ৯০% এমনই ছিল)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।