আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইন্ডিয়ানা জোনসঃ হ্যাটস, শর্টস অফ টু স্পিলু!

যখন বিকাল হতে থাকে, হতে হতে সূর্যটা ঢলে পড়ে, পড়তে থাকে

কি কমু! পুরা ছবি দেখলাম হা কইরা। মাটি ফুড়ে অদ্ভুত দর্শনের চিড়িয়া উঠলো আর সেটার উপর থেকে ১৯৫৭ এর লেটেস্ট মডেলের গাড়ী চইলা গেল। ঐ একই ক্যামেরা টাইনা নিয়া গেল এক সৈন্যবহরের দিকে দূরের রাস্তায়, তারপরে চাক্কার চকমকে স্টিলে রাস্তার রিফ্লেকশন, সাইডগ্লাসে ওভার টেক করতে উদ্যত গাড়ীর ছবি এবং পরক্ষণেই সেটার প‌্যারালাল আগমন মানে শুরুতেই চমকের পরে চমক। স্পিলবার্গের পরিচালনায় এত ছোট ছোট বিষয় এত জীবন্ত, অভিনব আর নতুনত্বে ভরপুর আমার মুখে লালা ঝরতে থাকলো অবিরত। এলিয়নদের গুহার ভেতরের সেট, দরজার খোলার কেরামতি থেকে শুরু করে রাশিয়ানদের সাথে হ্যারিসন ফোর্ডের গাড়ীর ফাইট, ফোর্ডের ছেলের দুই গাড়ীর মাঝখানে দাড়িয়ে রাশিয়ান লেডি কমান্ডারের সাথে হাতাহাতি সবকিছু এত ভিন্ন মাত্রার সৌন্দর্য্যে মোড়ানো, বলার ভাষা নাই। খাড়া পাহাড়ের কোল ঘেসে স্পিডে গাড়ীর ছুটে চলা আর ওয়াটার ফলে পড়ার আগে গাড়ী সহ গাছে ঝুলে থাকা এক অনবদ্য চিত্রায়ন। প্রচুর খরচ, প্রচুর মেধার বিনিয়োগ অনেক ছবিতেই হয়, কিন্তু এই ছবিতে অসংখ্য নতুন নতুন সৃষ্টি দেখিয়েছে, ফ্রেমিং এর নতুন প্রয়োগ। এর আগে এমন অভিভূত হয়েছিলাম লর্ড অব দ্যা রিংগসে, কিন্তু ইন্ডিয়ানা জোনসের এনিমেশন এত বেশী ন্যাচারাল যে এর সাথে অন্য কিছুর তুলনাই হতে পারে না। হ্যাটস, শর্টস অফ টু স্পিলু!

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।