বাংলাদেশ ব্লগারস এসোসিয়েশন সদস্য নং: ১০ । facebook.com/milton3d
আবুল বাহার ফানপোষ্ট দিলেন, আজকে নাকি অংক দিবস। ঠিকআছে, সেই মনে করে আমিও একটা পোষ্ট দিলাম। তাই সেইদিনের স্কুলের অংকের ক্লাশের কথা মনে পড়ে গেল। যাক সেসব, সবকিছু পুরোপুরি ভাবে বলতে গেলে নষ্টালজিয়ায় পড়ে যাবো।
সেখানে যেতে চাই না।
বরাবরই অংকে ছিলাম প্রচন্ড খারাপ। তবে কখনও ফেল করিনি। এটা হয়েছিল তখন ক্লাশ সেভেন কি এইট? একটু বড় বড় ভাব, তাই সবার সাথে কম্পিটিশন করা। আর সেখানেই ধরা।
পড়াশোনা চাঙ্গে। অর্থাৎ ছাত্রজীবনের এই পযায়ে এসে পড়াশোনায় সত্যিই একটু ঢিল দিয়েছিলাম।
আমাদের এলাকায় আমার বাবার মোটামুটি একটা ভালো পরিচিতি ছিল। ওনাকে সবাই খুব ভাল করে চিনতেন। যাই হোক, তখন ক্লাশে পরীক্ষার খাতা টিচাররা দেখার পর, ছাত্র-ছাত্রীদের দেখানো হতো, কত নাম্বার দিয়েছেন এইজন্য।
তো যেদিন আমাদের অংক খাতা দেখতে দেয়া হলো, অংকে প্রচন্ড খারাপ করলাম, স্যার বললেন, "যা, এই খাতা তোর আব্বাকে দিয়ে দেখিয়ে সই করে নিয়ে আসবি। "
এইবার তো বুক কাঁপতে লাগলো, কারন এই খাতা আব্বাকে দেখালে তো তার হতে নির্ঘাত প্রচন্ড মাইর থেতে হবে। নিজেই খাতায় আব্বার সিগনেচার নকল করে জমা দিলাম স্যারের কাছে। স্যার তো দেখেই ধরে ফেললেন, এই কাজ আমার। উনি তৎক্ষনাত কিছু বললেন না।
আমি বুকে ফুঁ দিলাম যাক এই যাত্রায় বাঁচলাম।
রাতে আব্বা যখন বাসায় আসলেন, তখন পড়ার টেবিলে আমার সামনে বসে আস্তে করে খাতাটা খুলে আমার সামনে ধরে বললেন, "এটা কি?" ওহ তারপর মিনিট বিশেষ শুধু সপাং সপাং। আমার বাবা আমাকে পরীক্ষায় কম পাওয়ার জন্য মারেননি। উনি মেরেছিলেন, তার সিগনেচার নকল করেছিলাম এইজন্য।
পরে তিনি আবার শক্ত করে আমার পড়ালেখার হাল ধরেন।
এসএসসি পরীক্ষায় ২ অংকেই লেটার পেয়েছিলাম।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।