Make always difference.
আমাকে যদি কেউ প্রশ্ন করে বাংলাদেশে কি সম্ভব না? আমি এক বাক্যে বলব বাংলাদেশে সব সম্ভব কারন বাংলাদেশে যার টাকা আর ক্ষমতা আছে তার জন্য সব সম্ভব । যেকোন অন্যায় করলে ও আইন কখনও তার কাছে ঘেঁষতে পারেনা।
গত ১০ তারিখে অফিস থেকে বাসায় ফেরার পর একটা মৃর্ত্যু সংবাদ শুনে মাথায় যেন বাজ পড়ল। এত অল্প বয়সে মৃর্ত্যু ভাবতেই যেন কি রকম লাগল তা লিখে বুঝাতে পারবনা। গ্রামের বাড়ির পাশেই মেয়েটির বাড়ি।
নাম শিরিন। বয়স ২৩/২৪ এ রকম হবে। যত দুর মনে পড়ে আজ থেকে ৬/৭ বছর আগে মেয়েটি বিয়ে হয়। বর সৌদিতে থাকত। শিরিনে বাবা তেমন সচ্চল ছিল না তাই তার মামাদের সহযোগিতায় স্কুলে থাকা কালিন বিয়ে হয়।
জানতাম প্রথম দিকে ভালই ছিল পরে আর খবর নেওয়া হয়ে উঠেনি।
১০ তারিখে যা শুনলাম তা শুনে আমার কান কে ও বিশ্বাস করাতে পারছিলাম না । শিরিনকে নাকি মেরে ফেলা হয়েছে। ওর স্বামী মেরে হাসপাতালের বারান্দায় অসুস্থ বলে রেখে গা ডাকা দিয়েছে। পর দিন সকালে শিরিনে লাশ পোষ্টমর্টমের জন্য থানায় নিয়ে যাওয়া হয় অনেক কষ্টে পোষ্টমর্টেম করার পর সন্ধ্যায় ওর লাশ দাফন করা হয়।
কষ্ট হবেনা কেন ওর বাবার তো আর টাকা আর ক্ষমতা কোনোটাই নাই।
এর পর যা শুনলাম তা শুনে এর মধ্যে ও হাসি পেল তা হল সামাজিক ভাবে নাকি এর সুরাহা হয়েছে তা হল শিরিনে বিয়ের সময় যেসব গয়না ও টাকা দেওয়া হয়ে ছিল তা ফেরত দিবে । এবং দেনমোহরে টাকা গুলো দিবে। এটাই শিরিন হত্যার বিচার। হায়রে বাংলাদেশ! শিরিনের বাবাও কি করবে বুঝতে পারছে না কারন মামলা করতে গেলে টাকার প্রয়োজন , মামলা চালাতে গেলে টাকার প্রয়োজন এসব তো আর শিরিনে বাবার নাই।
থানার বড় বাবুরা ও নাকি এটা করার পরামর্শ দিয়েছে। কিছু বুঝলেন বাবুদের অবস্থান।
এবাবে আর কত শিরিনরা মারা যাবে বলতে পারেন ব্লগার বৃন্দ,বলতে পারেন আর কত শিরিনের বাবারা তাদের মেয়েদের হত্যার মামলা করতে পারবে না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।