আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রাষ্ট্রদ্রোহীতার মামলা কাদের বিরুদ্ধে করা উচিত.??? "ক্ষ" ব্যান্ড বনাম শীর্ষস্থানীয় দেশের সঙ্গীত শিল্পী

অঝোর ধারায় নেমে খরাকে মুক্তি দিয়ে, মুক্ত করবো শিকলে বিদ্ধ সিক্ত নয়ন । আর নয় নিয়তির নির্মমতায় পদদলিত হওয়া, কন্টাকীর্ণ অথৈ সাগর পাড়ি দিয়ে আনব ছিনিয়ে মুক্তির রক্তিম সূর্য । গত ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় আয়োজন করা হয় ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি’ শীর্ষক অনুস্ঠান। ওই অনুষ্ঠানটিতে সঙ্গীত পরিবেশনকারীরা সকলেই বুকে আড়াআড়িভাবে হাত রেখে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন। অনুস্ঠানটির আয়োজন করে নেদারল্যান্ড ভিত্তিক গ্রামীন ফোন কোম্পানি টেলিনর।

জাতীয় সংগীত পরিবেশনার রীতিকে বিকৃত করার অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে। এছাড়াও জাতীয় সঙ্গীত শুরুর আগে পাশ্চাত্যের অপেরা পরিবেশনার ঢঙ্গে সমবেত কণ্ঠে কিছু অপ্রোয়োজনীয় শব্দ উচ্চারণ করেন তারা, জাতীয় সংগীত শুরুর আগে হামিং করা হলো, 'ও হো, হো হো, হো হো, হো হো'! এই হামিং কি আমাদের জাতীয় সংগীতের অংশ? কবে থেকে? সংগীত আয়োজককে এই মশকরা করার অধিকার কে দিয়েছে? সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো কি চোখ-কান বন্ধ করে দিয়েছে যে প্রকাশ্যে জাতীয় সংগীতের বিকৃতি চললেও কিছু বলা হবে না? জাতীয় সংগীত গাওয়ার ব্যাপারে আমাদের নিজস্ব নিয়ম আছে। এটি শুধু রীতি নয়, আইনের দ্বারা সুরক্ষিত। মন্ত্রিসভার ১৯৭৮ সালের ২৫ অক্টোবরের প্রজ্ঞাপন, যা ২০০২ সালের অক্টোবর পর্যন্ত সংশোধিত হয়েছে, সেখানে জাতীয় সংগীত গাওয়ার ব্যাপারে সুস্পষ্ট নিয়ম উল্লেখ করা হয়েছে। ইউনিফর্মধারী পেশাজীবী যেমন_সশস্ত্র বাহিনী, পুলিশ, বর্ডারফোর্স_এদের সদস্যদের জন্য জাতীয় সংগীত পরিবেশনের সময় স্যালুট প্রদান বাধ্যতামূলক এবং বেসামরিক উপস্থিতির জন্য সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে সম্মান জানানোই নিয়ম।

যা বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের প্রচলিত রীতিবিরোধী। বেসরকারি মোবাইল অপরাটের প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ ফোনের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ও। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অব.) তাজুল ইসলাম। অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনার শুরুতে ভিন্ন ধরনের সুর ও দাঁড়ানোর ভঙ্গির বিষয়টি নিয়ে তার মনেও প্রশ্ন জেগেছে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমি যতদূর জানি, জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের সময় দু’হাত দু’পাশে ঝুলিয়ে রাখতে হয়।

’ অনুষ্ঠানে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের জন্য দেশের শীর্ষস্থানীয় প্রায় সব সঙ্গীত শিল্পীকেই আমন্ত্রণ জানানো হয়। সংগীত পরিচালক আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল এতে সংগীত পরিচালনা করেন। আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল জানান, জাতীয় সঙ্গীতের শুরুতে আমি ‘প্রারম্ভিক সুর’(prelude) আরোপ করেছি। তবে সমর দাসের মূল রেকর্ডে এ সুর নেই। জাতীয় সংগীত পরিবেশনার রীতি প্রসঙ্গে প্রগতিশীল সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক কামাল লোহানী বলেন, ‘বুকে হাত দিয়ে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের রীতি আমাদের এখানে নেই।

এখন জোর করে কেউ তৈরি করতে চাইলে কী বলার আছে?’এ প্রসঙ্গে সাংস্কৃতিক কর্মী ও নাট্যকার তানভীর আহমেদ সিডনী বলেন, ‘আমাদের দেশে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের ক্ষেত্রে দাঁড়িয়ে দু’হাত পাশে ঝুলিয়ে রাখতে হয়। স্বাধীনতার পর থেকেই এই রীতি মেনে চলা হচ্ছে। ’অনুষ্ঠানে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনায় অংশ নেওয়া বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী সৈয়দ আবদুল হাদী বলেন, ‘আজকে নতুন কিছু হলো। বুকে হাত রেখে জাতীয় সংগীত পরিবেশন বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই করা হয়। ’ তিনি বলেন, ‘দৃষ্টিনন্দন যদি না হয়, তবে ভবিষ্যতে হয়তো আর গাওয়া হবে না।

’বুকে হাত রেখে জাতীয় সংগীত পরিবেশন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আগে থেকে এরকম কিছু আমি জানতে পারিনি। মঞ্চে ওঠার পর জুনিয়র কয়েকজন শিল্পী আমাকে বললো, আজ আমরা এভাবেই গাইবো। ’ তবে তিনি বলেন, ‘দেশাত্ববোধক গান গাওয়ার জন্য এ রীতিটি ভালোই হতে পারে। ’ অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন রুনা লায়লা, সৈয়দ আবদুল হাদী, আব্দুল জব্বার, খুরশিদ আলম, এন্ড্রু কিশোর, রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা, আইয়ুব বাচ্চু, জেমস, কণা প্রমুখ। Click This Link এখন প্রশ্ন হচ্ছে, আপনারা বড় মাপের শিল্পি আপনারা যেভাবে গাইবেন সেটাই কি ঠিক..?? আপনারা “ক্ষ” ব্যান্ডের গাওয়া সোনার বাংলা গানকে বলছেন বিকৃত ।

তাহলে আপনাদের টা কি..?? কোন সংবিধানে এই ভাবে গান করার কথা লেখা আছে..?? আপনারা বলেছেন এর জন্য রাষ্ট্রদ্রহীতার মামলা হওয়া উচিত…?? সেটা তো আগে আপনাদের বিরুদ্ধে হওয়া উচিত নয় কি..?? আপনারাই তো পথ প্রদর্শক । । “ক্ষ” ব্যান্ডের ভোকাল তাদের গাওয়া গানটি সর্ম্পকে যদি গানটি গাওয়াতে রাষ্ট্রদ্রোহীতার সামিল অপরাধ হয়, এতে তাকে যা শাস্তি দেওয়া হবে, এমনকি মৃত্যুদন্ড দেওয়া হলেও তিনি তা মাথা পেতে নিতে রাজি । আপনারা রাজী তো..??? নিউজ রিপোর্ট মত দ্বিমত এর কিছু লিংক. Click This Link Click This Link ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।