বাংলাদেশ ব্লগারস এসোসিয়েশন সদস্য নং: ১০ । facebook.com/milton3d
আমার অফিসের বস খুব সৌখিন মানুষ। অন্ততঃ আমি যতটুকু দেখি। উনি চেষ্টা করেন যতটা ফিটফাট আর অভিজাত্য বজায় রাখা যায়। কথাবার্তায় চাল চলনে সেটার একটা ছাপ ফুটে উঠে।
উনার একটা শখের ব্যাপার হলো দামী কলম, মোবাইল আর ঘড়ি ব্যাবহার করা। উনি ঘড়ি পরেন রোমান্সন ব্র্যান্ডের, মোবাইল ইউজ করেন নোকিয়া এন ৯১, এন ৯৫। বেশ কয়েকদিন ভার্চুও ইউজ করেছেন। এছাড়াও কলম ইউজ করেন মন্টব্লাংক। দামী ব্র্যান্ড।
উনার কলমটা পুরোটাই গোল্ডপ্লেটেড। উনাকে ওটা নিয়ে বেশ তৃপ্তির মুচকি হাসি হাসতে দেখা যায়। আমিও বেশ উৎসাহ দেই ওনাকে। এই আভিজাত্যগুলোর ব্যাপারে। উনি এতে আরো তৃপ্তি পান, আমি সেটা বুঝি।
সেদিন খুব একটা দুঃখজনক একটা ঘটনা ঘটে গেল। বসের হাত থেকে কলমটা লাফ দিয়ে দুইতিনটা ডিগবাজি দিয়ে ফ্লোরের কার্পেটের উপর পড়ে গেল। কার্পেট বলেই রেহাই। বসের হাত থেকে কমলটা কার্পেটের উপরে যেতে খুব বেশী হলে ২ সেকেন্ড মত সময় লেগেছে। এই দুই সেকেন্ড যেন বসে কাছে কয়েক হাজার বছর।
আর আমি তার সেই কালো মুখ বসে বসে গিলেছি ঐ দুই সেকেন্ড। কলমটা কার্পেটে পড়লেও বস তৃপ্তির হাসি হাসলেন এই ভেবে যে, "যাক এ যাত্রায় বেঁচে গেল কলমটা"।
আমি তুলে এনে বসের হতে দিলাম। ওটা নিয়ে বস বলতে লাগলেন, "আরে মন্টব্ল্যাংক না? জোস জোস। " কিন্তু পরক্ষণেই দেখলাম বসের মুখ কালো।
কি হলো? ওটা হাত থেকে ছোটার সময় কখন যেন টেবিলের কোণাতে টাচ করে গেছে। আর তাতেই একটু ট্যাপ খেলো। আহা!!! এই দুঃখ বসের যায় কই!!!
বস দুঃখ পেলেও আমি সত্যিই মনে মনে একটু আনন্দিত এই জন্য যে বস সবসময় আমার কলম চেয়ে নিতেন এবং সেটা দুই থেকে তিন ঘন্টার মধ্যে হারিয়ে ফেলতেন। আবারো ৩০ টাকা দিয়ে জেলপেন গুলো কিনতাম আবার উনি নিতেন আর হারিয়ে ফেলতেন। মনে হয় আমার এই মনের কষ্টটা তার উপর লেগেছে।
আরেকটা কথা বসের হ্যান্ডরাইটিং কিন্তু অদ্ভুত সুন্দর। সত্যিই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।