আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বেগম রোকেয়া শাখাওয়াত হোসেন এর অব েরাধ বািসনী -৪২ পর্ব

জীবন েযখােন েযমন

সেদিন(৭ই জুলাই ১৯৩১ সাল) জনৈকা মহিলা নিম্নলিখিত ঘটনা দুইটি বলিলেন: বহুবর্ষ পূর্বে তাঁহার সম্পর্কের এক নানিজান পশ্চিমদেশে বেড়াইতে গিয়া ফিরিয়া আসিলেন। তিনি যথাসময়ে টেলিগ্রাফ যোগে তাঁহার কলকাতায় পৌঁছিবার সময় জানায়াছিলেন। কিন্তু সেদিন তুফানে সমস্ত টেলিগ্রাফের তার ছিঁড়িয়া গিয়াছিল এবং কলিকাতায় রাস্তায় সাঁতার -জল ছিল। সুতরাং এখানে কেহ নানিজানের টেলিগ্রাফ পায় নাই এবং হাবড়া ষ্টেশনে পাল্কী লইয়া কেহ তাঁহাকে আনিতেও যায় নাই। এদিকে যথাসময়ে নানিজানের রিজার্ভ -করা গাড়ী হাবড়ায় পৌঁছিল; সকলে নামিলেন জিনিষপত্র ও নামান হইল কিন্ত পাল্কী না থাকায় নানিজান বোরকা পরিয়া থাকা সত্বেও কিছুতেই নামিতে সম্মত হইল না। অনেকক্ষন সাধ্য-সাধনের পর নানা সাহেব ভারী বিরক্ত হইয়া বলিলেন, "তবে তুমি এই ট্রেনেই থাক' আমরা চলিলাম' । বেগতিক দেখিয়া নানিজান মিনতি করিয়া বলিলেন, "আমি এক উপায় বলিয়া দিই' আপনারা সেইরূপে আমাকে নামান।" উপায়টা এই যে, তাঁহার সর্বঙ্গে অনেক কাপড় জড়াইয়া তাঁহাকে একটা বড় গাঁটরীর মত করিয়া বাঁধিয়া তিন চারি জনে সেই গাঁটরী ধরাধরি করিয়া টানিয়া ট্রেন হইতে নামাইল। অত:পর তদাবস্থায় তাঁহাকে ঘোড়ার গাড়ীতে তুলিয়া দেওয়া হইল।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।