তবু ফিরে যায়, বাঁচার আশায় ডানা ঝাপটায় পাখি...তুমি-আমি লড়ি বাঁচার আশায় বিনিদ্র জাগে আঁখি..... জীবনের সব বিষয়কেই সূত্রে ফেলতে ফেলতে অঙ্কের ন্যায় কামকেও সূত্রের মধ্যে ফেলা হয়েছে, আমরা সকলেই কমবেশি জানি, মানি নাকি মানি না সেটা বেশ আপেক্ষিক ব্যাপার। সেই কাম একস্ময়কার বইয়ের পাতা থেকে হয়ত উঠে এসেছে জীবন্ত চলচ্ছবিতে কিন্তু আবেদন হয়ত হারায়নি এতটুকু। নইলে কি আর শার্লিনও চেহারা দেখান এতে।
হ্যাঁ, যা ধারণা করছেন ঠিক তাই ঘটেছে… শার্লিন চোপরা উঠে এসেছেন রতিসুখ শেখাতে। ফ্রেমে…প্রেমে আর কোলাজে কোলাজে লাল লেহেঙ্গা আবৃত আদুল বুকে উঠে আসা এক ‘বিপজ্জনক’ শার্লিন যেন ঘুরে বেড়াতে চেয়েছেন পুরো কামসূত্র !!
রতি সুখের আদরে এমনই এক ত্রিমাত্রিক ছবির প্রমো সম্প্রতি ইউটিউবে মুক্তি পেল।
দক্ষিণী পরিচালক রূপেশ পল। গুগল জানাচ্ছে ইন্দো-ফ্রেঞ্চ ছবির এই প্রমো প্রথম দিনেই হিট হয়েছে ৫৫ লক্ষ যা তিনদিনে গিয়ে ঠেকেছে সোয়া লক্ষে।
শার্লিনের কামসূত্রের ফটোগ্যালারি
কী এমন আছে রতিসুখসারের ওই দৃশ্যে? যার জন্য দুনিয়াজুড়ে টিউবে হামালদারি! কে-ই বা ওই ‘বিপজ্জনক’ মেয়ে? উত্তর জানি, তবু টিউবে ডুবে দেখি অপরূপাকে। কান ফেস্টিভ্যালে রূপেশের ঘোষণা মতো, এ মেয়ে প্লে-বয় পত্রিকার সেই প্রচ্ছদ-কন্যা। যে-ই কেবল ট্যুইটে নিজের সম্পর্কে লিখতে পারে, ‘I’ve had sex for money!’ শার্লিন, শার্লিন চোপড়া!
৬৬ সেকেন্ডের প্রমোটি জুড়েই যেন লাল লেহেঙ্গা আর আধো অন্ধকারের রহস্যময়তায় শরীরে বোল তুলে ঢোলের মদকে মদকে অভিসারের আহবান।
দেখতে দেখতে মনে হয়, যেন শরীরের অন্দরমহলে এসে গোপন কথামালার জানলা খুলে দেবে শার্লিন! একে একে মনে পড়ে নারীর অন্তহীন রহস্যের আধারে লেখা প্রাচীন কাব্যশাস্ত্রের কথা। কখনও, ভরতের নাট্যশাস্ত্র। কখনও, কোক্করের ‘রতিরহস্য’, বাৎস্যায়নের ‘কামসূত্র’!
যিশুর জন্মের তিনশো বছর আগে লেখা এক রতিসুখ শিক্ষার ব্যাকরণ নিয়ে এখনও কী উন্মাদনা! ভাবলেও অবাক হতে হয়! পুরাণকথা বলছে, হাজার খণ্ডে প্রথম কামশাস্ত্র লিখেছিলেন নন্দীকেশ্বর নামের এক ব্যক্তি। যুগে যুগে নানা শাস্ত্রকারের হাত ঘুরে সেটি বাৎস্যায়নের সু-সম্পাদনায় সাত অধিকরণ, ছত্রিশ অধ্যায় আর চৌষট্টি প্রকরণে শোভন রূপ ধারণ করেছে। আর এখন সেই ‘সেক্স ম্যানুয়াল’ দেখা যাবে থ্রিডিতে!
১৯৯৬ সালে মীরা নায়ার ও হেলেনা ক্রিয়েলের চিত্রনাট্যকে নির্ভর করে মীরা নায়ারের পরিচালনায় মুক্তি পায় ‘কামসূত্র আ টেল অফ লাভ’।
১১৭ মিনিটের সে ছবিতে অভিনয় করেছিলেন রেখা, ইন্দিরা বর্মা, অরুন্ধতী নাগ প্রমুখেরা। যৌনকলার অলি-অন্দর ছুঁয়ে সমকাম ও বিপরীত বিহারও ছিল ছবির দৃশ্যায়নে। বিতর্ক তৈরি করলেও, মীরার ছবি সমালোচকদের কাছে নিছক গদ্যময় একটি ছবি বলে মনে হয়েছে।
সে দিক থেকে রূপেশের ছবির প্রোমো বলছে, ভারতীয় সিনেমার দর্শক পেতে চলেছে কামশাস্ত্রের এক নবদীক্ষা! হয়তো সেই জন্যই ইন্দো-ফ্রেঞ্চ এই ছবিকে ঘিরে সাইবার দুনিয়ায় একের পর এক গসিপ তৈরি হয়ে চলেছে নিয়ত। সিনেমার ভবিতব্যে যা স্বাস্থ্যকর।
অবশ্য এই উত্তেজনার অন্য একটি কারণ, রূপেশের থ্রিডি কামসূত্রে রতিরঙ্গের পরত খুলে খুলে রতিসুখ শেখাবেন শার্লিন। যে মেয়ে অবলীলায় বলতে পারে, ‘আমি খোলামেলা পোশাকে স্বচ্ছন্দ বোধ করি, আমার যৌনসত্ত্বাকে ছবি আর ভিডিওর মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলতে ভালবাসি। পছন্দ করি যখন কেউ আমাকে `টিজ` করে। ভালবাসি যৌনতা’!
চলতি বছরেই মুক্তি পাবে এ ছবি। বিতর্ক এড়াতে ভারতের মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থানে এ ছবির শ্যুটিং হলেও ফ্রান্স, ইতালি ও লন্ডনে রতি শিক্ষার দৃশ্যগুলি শ্যুট করা হচ্ছে।
শার্লিন ছাড়াও ছবিতে ‘দুলারি’ নামের একটি চরিত্রে অভিনয় করছেন কবিতা রাধেশ্যাম। এর আগে এই অভিনেত্রী বন্যপ্রাণীদের উপর অত্যাচারের প্রতিবাদে সামিল হয়ে নগ্ন ফটোশ্যুট করেছিলেন। ছবিতে তাঁকেও দেখা যাবে শার্লিনের মতোই আদুল শরীরে রতিসুখ শেখাতে। ছবিতে নৃত্য-নির্দেশক সরোজ খানের নেতৃত্বে পঞ্চাশ জন নগ্নিকাকে নৃত্য করতে দেখা যাবে। উইকি সূত্র জানাচ্ছে, এ ছবির আরও দুটি সিক্যুয়েল তৈরি হবে ফোর ডি ও ফাইভ ডিতে।
অন্যদিকে, রূপেশের মতই ছবি নিয়ে উচ্ছ্বসিত শার্লিনও। জন্মদিনে ট্যুইটারে নিজের নগ্ন ছবি পোস্ট করা, অথবা প্লে-বয় ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদের সেই বিখ্যাত ফটোশ্যুট করে পুনম পাণ্ডেকে টেক্কা দেওয়ার থেকেও এ ছবি নিয়ে শার্লিনের উন্মাদনা যেন একটু বেশি। নিজের কথায়, ‘কামসূত্র`র মধ্যে কোথাও অশ্লীলতা নেই। নগ্নতা আর অশ্লীলতা এক নয়! কামসূত্র`-র বিভিন্ন যৌনমুদ্রা থ্রি ডিতে অন্য মাত্রা পাবে’।
ছবি নিয়ে শার্লিনের দাবি কতখানি সঙ্গত, বা ইউ টিউবে প্রতি মিনিটে বাড়তে থাকা প্রোমোতে হিটের পরিমাণ কতখানি সাফল্য দেবে রূপেশকে, সময় বলবে সে কথা।
তবে রূপেশের সাফল্যের অঙ্কে এগিয়ে থাকার পাশাপাশি সেখানে শার্লিনও ‘বিপজ্জনক’ হয়েও চুপিসাড়ে এগিয়ে দেয় দর্শকের সঙ্গে তার সহবাসের ‘সূত্রপত্র’!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।