দ্য ইনভিজিবল
ইদানিং চিকনমিয়া প্রায় রাতে একটা ভয়ংকর দুঃস্বপ্ন দেখে জেগে উঠে। স্বপ্নে দেখে একটা ভয়ংকর মুখশ্রীর মোটা হাবদাগোবদা লোক একটা তেলতেলে লাঠি নিয়ে তার দিকে তেড়ে আসছে। লোকটার মুখে ভয়ধরানো একটা ধূর্ত হাসি । লোকটাকে দেখে চিকনমিয়া পালাতে থাকে। লোকটাও তার পিছু ধাওয়া করে।
কিন্তু চিকনমিয়া দৌড়াতে পারেনা। তার পা দুটো ধরে আসে। মনে হয় কে যেন তার দুপায়ে আঠা লাগিয়ে দিয়েছে । ভয়ংকর লোকটা একসময় চিকনমিয়াকে ধরে ফেলে। বিকট একটা ক্রুর হাসি দিয়ে মাথার উপর লাঠি তুলে চিকনমিয়াকে বাড়ি মারে।
ঠিক তখনি চিকনমিয়ার ঘুম ভেঙ্গে যায়। প্রবল আতংকে সে হাঁপাতে থাকে। ঘামে সমস্ত শরীর ভেসে যায়।
সেদিন চিকনমিয়া মহল্লার রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলো। দেখলো রাস্তার পাশে একটি মেয়ে দুজন তাগড়া ছেলের সাথে কোন বিষয়ে তর্ক-বিতর্ক করছে।
চিকনমিয়া ঘটনা বুঝার জন্য এগিয়ে যায়। মেয়েটি চিকনকে দেখে নালিশের সুরে বলে,দেখেছেন এরা সবসময় আমার রাস্তা আটকায়া দেয়।
আমারে বিরক্ত করে। খারাপ খারাপ কথা কয়। "ছেলেদের একজন চিকনমিয়াকে বলল,আপনে যানগা।
কুনু সমস্যা নাইক্যা। "চিকন বলল,আপনারা মেয়েটার পথ আটকিয়েছেন কেন?তাকে যেতে দেন। "
তখন অন্য ছেলেটা বলল,আরে মোর জ্বালা!আপনেরে যাইবার কইলাম না?প্যাঁচাইতাছেন ক্যালা। যান ফুটেন। নইলে একটা লাগাইয়া দিমু।
তখন প্রথম ছেলেটি বলল খাড়া,হালারে একটা ফু দিই। হালায়তো চিকনা,ফু দিলে উইড়া যাইবগা"। একথা বলে ছেলে দুটো হাহা করে হাসতে লাগলো। মেয়েটি তখন পাশ কাটিয়ে চল যেতে উদ্যত হল। প্রথম ছেলেটি বলল,এত তেজ দেহাও ক্যালা,হান্দাইয়া দিমু"।
মেয়েটি ঠাস করে ছেলেটির গালে একটা চড় বসিয়ে দিলো। ছেলে দুটো হতবাক হয়ে তাকিয়ে রইলো। প্রথম ছেলেটি বলল,তোর খবর আছে। দেইক্ষা নিমু।
চিকনমিয়া সকালের পত্রিকা হাতে নিয়ে সবেমাত্র প্রথম পাতাটা খুললো।
এমন সময় খবর পেল পাশের বস্তির ময়নাকে কারা নাকি এসিড মেরেছে। খবরটা শুনে চিকনমিয়ার হাত থেকে পেপারটা পড়ে গেল। মাথা প্রচন্ড ঘুরাতে লাগলো। দ্রূত পায়ে ঘটনাস্থলের দিকে রওয়ানা হল। পথিমধ্যে সেদিনকার রাস্তার ঘটনার ছেলে দুটির সাথে পথে দেখা হয়ে গেল।
তারা তারই অপেক্ষায় ছিল বোধহয়। মোটা একটা ছেলেও আছে তাদের সাথে। ছেলেটির হাতে মোটা একটা লাঠি। ছেলেটি চিকনমিয়াকে থামিয়ে দিয়ে বলল,
'বাসায় যানগা। নইলে এই লাঠিটা আপনের মাথায় ভাঙ্গমু"।
চিকনমিয়া কোন কথা না বলে বাসার দিকে আবার ফেরত পা বাড়ালো। চিকনমিয়া কিছুই বলতে পারলো না। কারণ সে দূর্বল।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।