আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তালের জীবন বেতাল হইলে...

"বাঙ্গালী জাতির গৌরবময় ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব এবং জাতীয় সংস্কৃতির জন্য অপমানজনক কোনকিছু এই ব্লগে লেখা যাবে না। "শিহরণে সত্তায় তুমি, হে আমার জন্মভূমি"

মার্শাল ল আসবে কি? আমি জানি না। ব্যবসা বাণিজ্য এত স্লো যাচ্ছে! আগে গরম গরম কথা বলতাম, আমার ইদানীং ভয় লাগে। এই বাজারে যদি আমার ব্যাংকটা ব্যবসা করতে না পারে, আমাকে পুষবে কোথা থেকে? যদি আমার চাকরীটা চলে যায়? খাব কি? ইলেকশন না কি হবে না, সত্যি?? আর্মি না কি গত দেড় বছরে ২০০০ কোটি ডলার ঘুষ খেয়েছে?? এটাও কি সত্যি? আচ্ছা আর্মি কেন লাগে আমাদের দেশে, আমাদের গ্রুপে সবচাইতে ভোন্দা কাশেম বন্ধুটা এই প্রশ্ন করেছিলো সেদিন আড্ডায়। বলে কি না ৩৭ বছরে বারবার ত্রাতার ছদ্মবেশে ক্ষমতা দখল করা ছাড়া আর কি করেছে আর্মি? আমার ইদানীং কোন বিষয় নিয়ে তর্ক করতে ইচ্ছা করে না।

আমি চুপচাপ গালে হাত দিয়ে বসেছিলাম। বন্ধুরা আমাকে অনেক ঠাট্টা করেছে, বলেছে কি রে জাতির বিবেক তুই চুপ হয়ে আছিস কেন? আমি ভয়েই মনে হয় কোন উত্তর দেইনি, আর্মির বিরুদ্ধে বললে যদি আমাকে রাষ্ট্রদোহীতার মামলায় ফেলে দেয়? তখন কি করব? একটা বন্ধূ গার্মেন্টসে কমার্শিয়াল হিসেবে কাজ করে। আমাকে বলে কি না- কি রে পোশাকখাতটাকে যে আনস্টেবল করার জন্য নানা প্রচেষ্টা চলছে তা নিয়ে লিখিস না কেন? খালি পুতুপুতু প্রেমের কবিতা লিখবি? আমি মিনমিন করে বলেছি এন্টি গভর্নমেন্ট কোন লিখা কোথাও ছাপে না। আর আমি লিখলেই কি কিছু পরিবর্তন হবে? ও আমাকে তাচ্ছিল্য করে বলেছে তা লিখবি কেন?বরং মঈন্যার বই এর রিভিউ লিখ তোকে ট্রাস্ট ব্যাংকে বড় পোস্টে চাকুরী দিয়ে দিবে! যত্তসব ফেরেববাজ রাইটার। আমার লেখক সত্তা আহত হলেও আমি কিছু বলিনি।

আরে বেটি আজকে ৩১.০৭.০৮ এ ইপিজেড এ কেমন আনরেস্ট ছিল সেটা নিয়ে একটু বল না, আমাকে আবার ফোন দিয়ে বললো। আমি আবার গা বাঁচানো উত্তর দিয়ে বললাম কই টিভিতে তো কিছু বললো না...টিভি তোর...এই কথা বলে বন্ধু খটাশ করে ফোন রেখে দিলো। টিভি, পেপার, আমার কণ্ঠ সবই তো ইটচাপা, এটা কি আমার বন্ধু জানে না! তাহলে কেন আমাকে এভাবে দোষারোপ?? আমি কি আমার বন্ধুদের বলতে পারি তোদের সেই বিদ্রোহী আত্মা বন্ধুর ইদানীং ভয় লাগে- তার ভয় হয় একেবারে বিদ্যুতহীন অবস্থায় বেঁচে থাকার, তার ভয় হয় চালের দাম একশ টাকা হয়ে যাবার, সে যেদিন বাসে চড়তে পারে না সেদিন খালি ভয় হয় ক্যাব ভাড়া ২৫০টাকা ছাড়িয়ে যাবার,তার ভয় লাগে রাতে অফিস থেকে ঘুটঘুটে অন্ধকার রাস্তা দিয়ে একা হাঁটতে, পুরো পাড়া রাত ন'টায় বাসায় ফেরত আসার সময় ডুবে থাকে অন্ধকারে, তোদের বন্ধু রিকশায় উঠলে ভয় পায় চরম ঝাঁকুনি খাবার - কারণ রাস্তাগুলোর দাঁত বেরিয়ে গেছে সেই কবে, রিকশাওয়ালা জিগজ্যাগ করে সব সময় চালাতে পারে না। তোদের বন্ধুর এখন অনেক ভয়। সে সব প্রতিবাদ বুকের ভেতর পুষে রাখে, মুখে এক মনে আরেক নিয়ে সে দিন কাটায় দেশী হানাদারদের রাজপাটে।

তোদের ব্ন্ধূ নিজেকে হারিয়ে এই বন্ধূ দিবসের প্রাক্বালে বড় একলা হয়ে আছে। তার ছন্দের জীবনটা কুঁকড়ে ঢুকে গেছে বিবিধ আশঙ্কার জরায়ুতে, তার এখন সব তাল ই বেতাল লাগে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।