এক সাগর রক্তের বিনিময়ে বাংলার স্বাধীনতা আনল যারা আমরা তোমাদের ভুলবা না
বড় ভাই বিয়ে করছে না। যদিও তার বয়স অনেক হয়ে গেছে। কারন পরের ঘরের বউ আনলে ছোট ভাইগুলো মানুষ হতে পারবে না। মানসিক চাপ প্রয়োগ করে বউ যৌথ পরিবার থেকে সবাইকে আলাদা করে ফেলবে।
তবু পাত্রী দেখা হচ্ছে, খুজে রাখি যখন রাজি হবে তখন তখন বিয়ে।
চিরায়ত নিয়ম মতে পাত্রী দেখতে যায় পাত্রের বোনরা। দুই বোন দুইটা গাদা।
সাহস নাই। আছে ধায় কাধে তুলে নেয়ার বোকামী। বোনদের উপর চরম বিরক্ত।
হাজবেন্ড ধরে মার দেয়। চুপচাপ মার খায়। রাতে সহবাসে ডাকলে না করে না। শত হলেও স্বামী তো । অখুশী আবস্থায় মরে গেলে দোজখে যেতে হবে।
দাতের ব্যাথায় চিৎকার করে। ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায় না। দাতের গোরায় সাদা/ জর্দ্দা লাগিয়ে দেয়। ব্যাথার সাময়িক উপশম হয়। কিন্তু মকমে আসে না ব্যাথা।
শ্বশুড়ের টাকায় বড় লোক হতে চায়। পায়রা বানুর জামাই। এক বার গ্রাম থেকে ছাগল কিনে ঢাকা এনে বিক্রি করে। লাভ আর কি। ছাগলের কান্ড দেখে পাড়া শুদ্ধ ছি ছি করছে।
মানুষ।
ও হ্যা কি বলছিলাম যেন।
বড় ভাই শামসের। এলাকায় যে কটা ছেলে এসএসসিতে প্রথম বিভাগ পেয়েছে তাদের মধ্যে শামস একজন। তারপর ইন্টারে পেল দ্বিতীয় বিভাগ।
চরমপন্থি কট্টর মৌলবাদী সংঘটন হরিবুত তরিকায় যোগ দেয়।
ধর্মীও উম্মাধনায় বেড়ে উঠে। সবাইকে কাফের ঘোষনা দিয়েছে কথায় কথায়।
এলাকার ধর্মপ্রান লোকগুলো ওদের উপর চরম বিরক্ত। তবে ওরা দমে না কেসি প্রোগ্রামের মাধ্যমে অন্যদের এরা আকৃষ্ট করে।
গরীব মানুষকে সাহায্য দেয়। ওদের উপর বিরক্ত তীব্র হলেও এলাকায় ওরা শক্ত আস্তানা গেড়ে বসেছে।
ওর বাবা। কাসেম মিয়া ছেলের উপর বিরক্ত। মেধাবী ছেলেটা কার পাল্লায় পড়ে যে নষ্ট হয়ে গেল।
রাতে সাদ্দাম হোসেননের খবর শুনতে সে বাধা দেয়। কাসেম মিয়ার শ্বশুর জামাইকে বিয়েতে একটা রেডিও দিয়ে ছিল।
একদিন কথা নাই বার্তা নাই শমসের আইসা রেডিওটা শূন্যে তুলে গুড়িয়ে দেয়।
কাসেম মিয়া রাগে ক্ষোভে ঘোষনা দিয়েছে এই ছেলেকে সে ত্যাজ্য করবে। আস্তে আস্তে রাগ পড়ে আসে।
সেই ছেলেকে কাসেম মিয়া করাবেন। পাত্রী পাওয়া গেল। হরিবুত তরিকা পটির সদস্য কালু ও হাবুর বোন মাদ্রাসা পড়া বোন বিবি খাদিজার সাথে।
বেটে খাটো পাত্রী।
সন্ধ্যায় পাত্রী দেখে পাত্র।
ধর্মের দোহাই দিয়ে পরিবারের আর কেউ পাত্রী দেখতে পারবে না। ধর্মে নিষেধ।
বেটে রোগাটে অসুস্থ মেয়েটাকে কাসেম সাহের বড় পুত্র বধূ করে। শমসেরের বড় দুই বোন কি দেখল। পাত্রী কেমন দেখছেন এর জবাবে মাঝখানে আলহামদুলিল্লাহ বলে বেকায়দায় ফেলেছে সবাইকে।
সবাই ধরে নিয়েছে পাত্রের বড় বোনের পছন্দ হয়েছে।
মেয়ে বিয়ে দিতে গ্রাম থেকে শহরে পাত্রীকে নিয়ে এসেছে তার আত্মীয় স্বজনরা।
কালো মেয়ে , পরীক্ষায় পাশ করবে কিনা কেউ জানে না। এই মেয়েকে শমসের কিভাবে বিয়ে করব।
না বলে দেয়।
মাওলানা কেরামত আলী ওরফে চোরা কেরামত ঘোষনা দেয় দেখি কেরামত কিভাবে কোথায় বিয়ে করে।
সকল জল্পনা কল্পনার আবসান ঘটিয়ে অবশেষে হরিবুত তরিকা পটির সদস্য কালু ও হাবুর বোন মাদ্রাসা পড়া বোন বিবি খাদিজার সাথে শমসেরর বেয়ে হয়।
চলবে
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।