বর্তমান রাষ্ট্রপতি ড: ইয়াজউদ্দিন আহমদকে কি সরে যেতে হচ্ছে ? হঠাৎ করে তার বিরুদ্ধে এন্তার অভিযোগ কেন ? তার পরিবারের সদস্যরা যদি
দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে থাকে , তবে এতোদিন ওয়ান-ইলেভেনের নেপথ্য
নায়কেরা নীরব ছিলেন কেন ?
গেল কয়েকদিনে হঠাৎ করে মিডিয়ায় নানা সংবাদ বেরুচ্ছে। শেখ হাসিনার পর বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয় টি ও প্রায় চুড়ান্ত।
এখন তাহলে কোন দাবা খেলতে নামছেন ওয়ান ইলেভেনের
চেতনাধারীরা ?
------------------------------------------------------------------------------------- রিপোর্ট / দৈনিক আমাদের সময় / ২৫ জুলাই ২০০৮
রাষ্ট্রপতির পুত্রবধূ কানিজ ফাতেমা ঠাকুরগাঁওয়ে ৮০ বিঘা জমির মালিক
সন্তোষ শর্মা ও আঞ্জুমান আরা বন্যা :
========================================
চারদলীয় জোট সরকারের সময় রাষ্ট্রপতি ড. ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদের পুত্রবধূ কানিজ ফাতেমা ওরফে শ্যামার নামে ঠাকুরগাঁওয়ের সীমান্তবর্তী উপজেলা বালিয়াডাঙ্গীতে প্রায় ৮০ বিঘা জমি কেনা হয়েছে বলে জানা গেছে। এই জমিতে গরু ও হাঁসের খামার এবং চা-বাগান করার কথা ছিল এবং গত বছর এখানে চা চাষ শুরু করা হয়েছে।
জানা যায়, কানিজ ফাতেমা জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার পারিয়া ইউনিয়নে সোলাদোগাছি মৌজার নিটলডোবা গ্রামের মরহুম ডা. ইলিয়াস আহাম্মেদ ও মরহুম অ্যাডভোকেট আব্দুল আজিজের ওয়ারিশগণের কাছ থেকে ৬০ বিঘা এবং ঐ এলাকার মোহাম্মদ আবুল কাশেম, নুর ইসলাম সহ ১০/১২ জনের কাছ থেকে কম মূল্যে আরও ২০ বিঘা জমি কিনেন।
রাষ্ট্রপতির পুত্র ইমতিয়াজ আহম্মেদ বাবুর স্ত্রী কানিজ ফাতেমা শ্যামার নামে ঐ জমি বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার লাহিড়ী সাব রেজিষ্ট্রি অফিসে দলিল সম্পাদন করা হয়। ঐ সময় ঠাকুরগাঁও শহরের হাজীপাড়া মহল্লার অধিবাসি ডা. রুস্তম আলীর বাড়িটি রেষ্ট হাউস বানানো হয়। এখানে রাষ্ট্রপতির পুত্রবধূ প্রায় সময় বিশ্রাম নিতেন। ওয়ান ইলেভেনের পর এই রেষ্টহাউসটিতে আর কাউকে দেখা যাচ্ছে না। অনেক সময় সরকারি প্রটোকল ছাড়াই তিনি সার্কিট হাউসেও অবকাশ কাটাতেন।
গ্রামবাসিরা জানান, রাষ্ট্রপতির পুত্রবধূ এলাকায় শ্যামা ম্যাডাম নামে পরিচিত। জমি কেনার পর নিটোলডোবা গ্রামে এ্যামিনেন্ট-টি-এস্টেট নামে একটি অফিসও স্থাপন করা হয়েছে। সূত্র জানায়, শ্যামা ম্যাডাম গ্রামবাসিদের ঘনিষ্ট হতে এলাকায় ঈদের সময় গরু কোরবানি দিয়ে মাংস বিতরণ করতেন এবং শীত মৌসুমে শীতার্তদের মধ্যে গরম কাপড় বিতরণ করেছেন। নিটোলডোবা গ্রামে অবস্থিত এ অফিসের দায়িত্বে রয়েছেন মুজাহিদুল হান্নান ওরফে নিপুন।
গত ১০ জানুয়ারী বাংলাদেশ চা বোর্ডের উদ্যোগে ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাবে “উত্তরাঞ্চলে চা চাষের সম্ভাবনা বিষয়ক” এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
এ অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতির পুত্রবধূ বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। চা বোর্ডের প্রকল্প পরিচালক আজাহারুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের জোনাল ব্যবস্থাপক খাজা ওয়ালিউর ইসলামও উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বলে তার পুত্রবধূ জমি কেনার সময় সরকারি কর্মকর্তাদের ব্যবহার করেছেন এবং জমির মালিকদের ন্যায্য মূল্য প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত করেছেন বলে অভিযোগ করেন স্থানীয় অধিবাসী ডা. মুর্তজা। জানা গেছে, বালিয়াডাঙ্গীতে জমি কেনা ছাড়াও তিনি পীরগঞ্জ উপজেলার জাবরহাট এলাকায় সরকারি পুকুর লিজ নিয়েছেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।