যখন বিকাল হতে থাকে, হতে হতে সূর্যটা ঢলে পড়ে, পড়তে থাকে
বাংলাদেশের পার্লামেন্টে দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে ভোট প্রদানের কোন সুযোগ নাই। সদস্য-পদ খারিজ হয়ে যাবে। কয়েকবছর আগে সুশীলদের এমন নিয়মের বিরুদ্ধে কথা বলতে শুনেছিলাম। এখন অবশ্য পার্লামেন্টই নাই, তারপরে আবার ভোটের নিয়ম কানুন নিয়ে চিন্তা!
ভারতের আস্থাভোট অধিবেশনে বিজেপির নেতা অশোক অর্গল লোকসভার মাঝখানে এসে তিনকোটি রুপি মেলে ধরে অভিযোগ করেছে যে এই অর্থ ভোটদানে বিরত থাকার জন্য তাকে দেয়া হয়েছে। রাজনৈতিকদের চরিত্র এমন নষ্ট হয়েছে যে এমন জলজ্যন্ত ছাবুত দেখিয়েও এমপিদের টলানো যায় নি।
অশোক অর্গল বরঞ্চ নাটকের রচয়িতা হয়ে গেছেন। ভারতে দলের বাইরে গিয়ে ভোট দেয়ার সুযোগ আছে, সম্ভবত গোপন ভোটের সিস্টেম। নইলে তো দল গুনেই বের করা যায় ক'য়টা ভোট পাবে।
দলের বাইরে গিয়ে ভোট দেয়ার এই নিয়মে এমপিরা বিক্রি হয়ে যান - এমন শঙ্কার কথা তখন বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো বলেছিলো। এমপিত্ব খারিজ না করার বিধান নিয়ে সরব পক্ষের বিরুদ্ধে এমন যুক্তি বেশ জোড়ালোভাবে উচ্চারিত হয়েছিল।
ভারতের সাম্প্রতিক আস্থাভোটে ১০ জন ভোট প্রদানে বিরত ছিলেন। এরা বিক্রি হয়ে গেছেন কিনা কে জানে! মোদ্দাকথা, এই পদ্ধতিতে ট্রান্সপারেন্সির অভাব লক্ষ্যনীয়। দলের সিদ্ধান্তের পক্ষে-বিপক্ষে ভোট দেয়ার জটিলতা উভয়ই বর্তমান। গোপন ব্যালটে আস্থা ভোট সম্পন্ন হওয়ার বিধান বাংলাদেশে বর্তমান কিনা জানি না, তবে সেটা যে বিশাল অঙ্কে এমপি বিক্রির সম্ভাবনাকে তুলে ধরে অশোক অর্গল তার প্রমান দিয়েছেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।