-
প্রাকৃতিক
জানালা দিয়ে তাকিয়ে ছিলাম-
সারাটা দুপুর, মেঠো পথের দিকে।
রোদের তাপ কমে গেলে
মাড়িয়েছি ঘাসফুল অবুঝের মত
একটা ঘাস ফরিঙ এর পিছুপিছু ।
তারপর পুকুর পাড়ে জলে পা ডুবিয়ে-
মাছরাঙার ছোঁ-মারা ভঙ্গিমাটুকু দেখব বলে
গোটা বিকেলটাই পালিয়ে গেল;
কিন্তু প্রতীক্ষাটুকু ফুরালো না।
সন্ধ্যা নামলে আকাশের লালিমায়,
নীড়ে ফেরা পাখিদের দিকে
তাকিয়ে থাকতে থাকতে -
ঝুপ করে নেমে যায় অন্ধকার।
রাতে জোনাকীর আলো মুঠোয় নিয়ে
খুঁজে চলি নিখোঁজ মায়া
বনানী ছাড়িয়ে মাঠে
পাহাড় পেরিয়ে ঐ দিগন্তের কাছে।
আহ! তখনও পাইনি দেখা।
যারে এক পলক দেখে
দুচোখ হতে পারে পরিতৃপ্ত !
তথাপি, আমি ফিরবার সময়
ঘাসের ডগায়, গাছের পাতায়
আমার সিক্ত অনুরাগ মেখে রাখি।
অবশেষে সেই ঘাসের কোলে
ঘাস ফড়িঙ এর বেশে
আমি চৈতন্য ফিরে পেয়ে
অনেক ভালোবাসা রেখে এসেছি
ঘাস এর ফাঁকে ফাঁকে !
আর, প্রতীক্ষায় থাকি ভোরের জন্য।
হায়! শিশিরে গচ্ছিত লজ্জাপতি
আমার নিবিড় ব্যাকুলতাটুকু
সকালের রোদ্দুরে এসে
হাওয়ায় মিলিয়ে যায় !!
(শেষ ভাগে ইটালিক পঞ্চমী’টি প্রিয় সবাক এর লেখা, যা কবিতাটির গুনগত মান বহুগুনে বৃদ্ধি করেছে।
এবং পুরো কবিতাটাই তার ‘ঘাস’কবিতায় মন্তব্য কলামে জন্ম নিয়েছে।
এখানে প্রকাশ করতে যেয়ে কয়েকটি অতিরিক্ত শব্দ এসেছে আর কিছু শব্দ স্থান পরিবর্তন করেছে হয়তো !)
ছবিসূত্রঃ
Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।