মুক্তিপণ হিসেবে দাবি করা ২০ লাখ টাকা না পেয়ে জামালপুর সরকারি আশেক মাহমুদ ডিগ্রি কলেজের ছাত্র নাজমুল ইসলামকে (২৩) টঙ্গী আউচপাড়ার জনৈক নেয়ামতউল্লাহর বাড়ির ছয় তলায় একটি রুমে গলা কেটে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার রাতে ওই স্থান থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। টঙ্গীতে অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধারের ঘটনা সংবাদপত্রের মাধ্যমে জানতে পেরে তার বড় ভাই রফিকুল ইসলাম গতকাল গাজীপুর সদর হাসপাতাল মর্গে নাজমুলের লাশ শনাক্ত করেন। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় ভবনের ছয় তলার ফ্ল্যাটের পাশের কক্ষের ভাড়াটে আবদুর রহিম তালাবদ্ধ কক্ষ থেকে দুর্গন্ধ আসার খবর বাড়ির মালিক নেয়ামতউল্লাকে জানান। তিনি কক্ষের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে শৌচাগারে যুবকের হাত-পা বাঁধা জবাই করা লাশ দেখতে পান।
খবর পেয়ে পুলিশ অজ্ঞাত হিসেবে লাশ উদ্ধার করে গাজীপুর সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। নাজমুলের বড় ভাই ক্যামব্রিয়ান স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেরানীগঞ্জ শাখার সহকারী শিক্ষক মো. রফিকুল ইসলাম জানান, গত ৩ সেপ্টেম্বর তার ছোটভাই নাজমুল বন্ধুর বাসায় বেড়ানোর উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হয়। ওইদিন থেকেই তার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। আত্দীয়স্বজনের বাড়িতে খোঁজখবর নিতে থাকেন। ৪ সেপ্টেম্বর থেকে দুর্বৃত্তরা মুঠোফোনে তার মুক্তিপণ হিসেবে ২০ লাখ টাকা দাবি করে আসছিল।
এদিকে সংবাদপত্রের মাধ্যমে টঙ্গীতে অজ্ঞাত লাশ উদ্ধারের খবর জেনে গতকাল বেলা ২টায় গাজীপুর সদর হাসপাতাল মর্গে নাজমুলের লাশ শনাক্ত করা হয়।
নাজমুল জামালপুর সরকারি আশেক মাহমুদ ডিগ্রি কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্র। তাদের গ্রামের বাড়ি জামালপুর সদরের চরশীখলিফাপাড়া।
প্রসঙ্গত, গত ২৩ জুলাই একই ভবনের তিন তলার ভাড়াটে উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রকে অপহরণের পর জামালপুর নিয়ে হত্যা করা হয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।