মুক্তিপণের টাকা না পেয়ে স্কুলছাত্র রমজান শিকদারকে (১০) শ্বাসরোধে হত্যা করেছে পাষণ্ডরা। নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের জালকুড়ি এলাকা থেকে অপহরণ করে শেরপুরের নকলায় নিয়ে তাকে হত্যা করা হয়। পরে লাশ ফেলে দেওয়া হয় নকলার চাপাকুড়ি সেতুর নিচে। গতকাল সকালে পুলিশ লাশ উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় নকলা থানা পুলিশ নকলা থেকে দুজন ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে।
নিহত রমজান জালকুড়ি এলাকার মৃত ইসমাইল শিকদারে ছেলে। সে জালকুড়ি পূর্বপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্র ছিল। নকলা থানার ওসি ফসিহুর রহমান অপহরণকারীদের স্বীকারোক্তির বরাতে জানান, নকলা উপজেলার বারোমাইশ্যা গ্রামের লোকমান মিয়ার ছেলে আটক হামিদ (২০) ও পাশের নিয়ামত আলীর ছেলে রিপন (২০) জালকুড়ি এলাকায় ইসমাইল সিকদারের বাসায় ভাড়া থেকে লেপ-তোশক তৈরির কাজ করত। তারা ৭ সেপ্টেম্বর সকালে ইসমাইল সিকদারের ছেলে রমজানকে মুক্তিপণ আদায়ের উদ্দেশ্যে অপহরণ করে। পরে রমজানের স্বজনদের কাছে ১০ হাজার টাকা মুক্তিপণ হিসেবে দাবি করে।
৮ সেপ্টেম্বর ভোররাতে নিরাপদ স্থান হিসেবে তাকে শেরপুরের নকলায় আনা হয়। শিশুটি কান্নাকাটি শুরু করলে অপহরণকারীরা তাকে গলা টিপে হত্যা করে নকলার চাপাকুড়ি সেতুর নিচে জঙ্গলে ফেলে রাখে। এদিকে মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে পুলিশ রবিবার রাতে হামিদ ও তার সহযোগী রিপনকে আটক করে। তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী গতকাল সকালে পুলিশ রমজানের লাশ উদ্ধার করে।
মুক্তিপণ দাবিতে অপহরণ : কুষ্টিয়া প্রতিনিধি জানান, খোকসায় ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণের দাবিতে স্কুলছাত্র সাজ্জাদুর রব আপনকে (১৫) অপহরণ করেছে দুর্বৃত্তরা।
উপজেলার সমসপুর বাজার থেকে রবিবার তাকে অপহরণ করা হয়। গতকাল সকালে মোবাইল ফোনে তার পরিবারে কাছে মুক্তিপণ দাবি করে তারা। আপনের ভাই শিপন জানান, সমসপুর বাজারে তাদের ওষুধের দোকান থেকে রবিবার সন্ধ্যার পর আপন বাড়ি যাওয়ার পথে নিখোঁজ হয়। গতকাল সকালে মোবাইল ফোনে (০১৮৫৪২৩২৬৩৯) তার ভাইয়ের মুক্তি বিনিময়ে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। বিষয়টি জানাজানি হলে আপনকে হত্যার হুমকি দেয় দুর্বৃত্তরা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।