অপহরণ করে আদায় করা অর্থের ভাগবাটোয়ারা নিয়ে বিবাদ মেটাতে নিজেদের মধ্যে দলিলও করিয়ে নেয় অপহরণকারীরা।
চট্টগ্রামে এক ব্যবসায়ী অপহরণের সঙ্গে যুক্ত গ্রেপ্তারের পাঁচ ব্যক্তির কাছ থেকে এমন তথ্যই পেয়েছে নগর গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা।
গত দুইদিন চট্টগ্রাম ও ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয় তাদের, যাদের মধ্যে অপহৃতের এক আত্মীয়ও রয়েছেন।
তবে অপহরণের মূল পরিকল্পনাকারী নূর উদ্দিন মো. ইব্রাহিমকে ধরতে পারেনি পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মো. আব্দুর রহিম ওরফে রিয়াজ (৫১), অপহৃতের আত্মীয় মো. মহসিন (৩২), মো. শহীদুল্লাহ (২৮), হামিদ হাসান (৩০) ও দিদারুল আলম (২৯)।
চট্টগ্রাম নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার বাবুল আক্তার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, গত বছরের ৩ অগাস্ট রাতে নগরীর হিল ভিউ আবাসিক এলাকা থেকে আবু আহম্মেদ নামে এক ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে তিন কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করে গ্রেপ্তারকৃতরা। পরে এক কোটি টাকা মুক্তিপণ দিয়ে তাকে ছাড়িয়ে আনে পরিবারের লোকজন।
বাবুল আক্তার বলেন, অপহরণের মূল পরিকল্পনাকারী নূর উদ্দিন মো. ইব্রাহিম এলাকায় নিজের প্রভাব প্রতিষ্ঠা করতে বিভিন্ন সময় মসজিদ-মাদ্রাসায় দান করতো।
“শুক্রবারও হাটাহাজারীর নাঙ্গলমোড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মিলাদুন্নবী অনুষ্ঠানের জন্য মুক্তিপণের অর্থ থেকে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দেন। ওই অনুষ্ঠানে তার প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখার কথা ছিল।
”
ইব্রাহিম দুবার হাটহাজারী উপজেলার ছিপাতলী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বলে জানা এই পুলিশ কর্মকর্তা।
বাবুল বলেন, “আবু আহম্মেদকে অপহরণের আগে তার আত্মীয় মহসিনের মোবাইলের দোকানে বসে ঘটনার পরিকল্পনা হয়। এজন্য মহসিন নগদ তিন লাখ ও চেকের মাধ্যেমে পাঁচ লাখ টাকাসহ মোট আট লাখ টাকা পায়। ”
অপহরণকারীদের গ্রেপ্তারের পর চেকটি পুলিশ জব্দ করে বলেও জানান তিনি।
“জিজ্ঞাসাবাদে রিয়াজ জানান টাকার ভাগভাটোয়ারা নিয়ে সমস্যা হওয়ায় তাদের মধ্যে একটি দলিলও হয়, যা উদ্ধার করা হয়েছে।
’’
ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়েও নুরুদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা যায়নি বলে জানান বাবুল।
এই গোয়েন্দা কর্মকর্তা জানান, নগদে কোনো টাকা উদ্ধার করা না গেলেও অপহরণকারীদের একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করা হয়েছে, যাতে ৫২ লাখ টাকা জমা রয়েছে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।