আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মানুষের এমন আচরন দেখলে মন খুব খারাপ হয়ে যায়

বাংলাদেশ ব্লগারস এসোসিয়েশন সদস্য নং: ১০ । facebook.com/milton3d

গতকাল একটি পোষ্টে আমি লিখেছিলাম, এখনও পৃথিবীর বেশীরভাগ মানুষ ভালো। আমি বেসিক্যালি মনে প্রাণে এটাই বিশ্বাস করি। কিন্তু মাঝে মাঝে এমন কিছু অভিজ্ঞতার অর্জন করতে হয় যে, মনটাই ভেঙ্গে যায়। বেশকিছুদিন যাবত খেয়াল করছি মানুষের মধ্যে কোন সহনশীলতা নাই।

জানের মধ্যে কোন রহম নেই। কে কাকে মেরে কিভাবে উঠতে পারবে এটারই প্রতিযোগীতা। প্রতিদিন রাস্তা-ঘাটে অনেক অভিজ্ঞতা হয়। বেশীরভাগ সময় এসব দেখে মন খারাপ হয়ে যায়। কোন ছোট যেমন বড়কে সন্মান করে না, আবার কোন বয়জোষ্ঠ্য ছোটদের স্নেহ করেন না।

এর জন্য অবশ্য একে অপরকে দোষ দিতে পারে। দেওয়াটাই স্বাভাবিক। গতকাল অফিস থেকে সরাসরি গিয়েছিলাম একটা ক্লিনিকে। সেখানে আমার অসুস্থ মাকে নিয়ে আমার স্ত্রী আসে। আগে থেকেই বুকিং দেয়া ছিল ডাক্তারের কাছে।

ডাক্তার সাহেব যথাযত ভাবে দেরীতেই আসলেন এবং আমার মাকে দেখলেন। আমার মা খুবই অসুস্থ্য। কিছুদিন আগে উনার মেরুদন্ডের নীচের অংশে অপারেশন হয়েছে। আর তার বেশ কিছুদিন আগে তার গলব্লাডার রিমুভ করা হয়েছে। তিনি ডায়াবেটিক পেসেন্ট।

অপারেশনের পর থেকে ওনার ডায়াবেটিক নট ইন কনট্রোলড। খুবই দুর্বল শরীর, ভাল ভাবে হাঁটতে ও দাঁড়াতে পারেন না। উনার সামনে মাসের ১ তারিখে দেশের বাহিরে যাবার কথা। ডাক্তার দেখানোর পরে ওনাকে নিয়ে রাস্তায় অপেক্ষা করছিলাম রিক্সার জন্য। এতগুলো রিক্সাওয়ালাকে রিকোয়েষ্ট করলাম, কেউ যাবে না।

কথাই বলছে না। এভাবে দাড়িঁয়ে থাকতে থাকতে আমার মা একসময় জ্ঞান হারিয়ে রাস্তায় পড়ে গেলেন। তারপর যা ঘটলো ওখানে সেগুলো নাইবা বললাম। আপনারা একটু অনুধাবন করেন আমার মনের অবস্থাটা তখন কিরকম ছিল? তাও রিক্সাওয়ালাদের মন গলে না। আমার সাথে আপনারাও হয়ত একমত হবেন যে সবচেয়ে বেশী খারাপ আচরন করছে এই রিক্সাওয়ালা, সিএনজি/ক্যাব ওয়ালারা।

(হয়ত আমাকে রিক্সায় যাতায়াত করতে হয় পকেটের কথা চিন্তা করে তাই এদের প্রকৃত অবস্থাটা জানি) আপনি যে রিক্সাওয়ালাকেই জিজ্ঞেস করবেন, "যাবেন কিনা?" সে কোন কথাই বলবে না অথবা বলবে "যাবো না"। মানে সে সেখানে বসে থাকবে। বর্তমান সরকারের সুন্দর দেশ পরিচালনার একটি বাস্তব উদাহরন হলো দ্রবমূল্যের উর্দ্বোগতির ছন্দপতন। রিক্সাওয়ালারাও সংগত কারণে তাদের ভাড়া বাড়িয়েছে। ঠিকই আছে।

কিন্তু তারা এতটাই বেপরোয়া হয়েছে সেটা কল্পনা করা যায় না। যে জায়গার ভাড়া ১০ টাকা (ভাড়া বাড়ানোর পরেও) হয় সেখানকার ভাড়া তারা ১৫-১৮ টাকা চাইছে। প্রতিটি দিনমজুর একটা টার্গেট নিয়ে রাস্তায় নামে। যদি তার দিনে ২০০ টাকার প্রয়োজন হয় তবে সে ২০০ টাকার কামানোর পর অতিরিক্ত আয়ের চেষ্টা করে না। এটাই হয় বেশীরভাগ সময়।

ব্যাতিক্রমও আছে কিছু। একটা রিক্সাওয়ালা সকাল থেকে রাস্তায় নেমে মানুষের কাছ থেকে জোরপূর্বক অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করে খুব অল্প সময়ে তার কাংখিত টাকা পেয়ে যায়, যার জন্য সে অন্যসময়টুকু মানুষের ডাকে সাড়া দেয় না অথবা বেয়াদবী করে। কিন্তু আমি আশা করি এর একটা বিহিত খুব শীঘ্রই হবে। কোন অন্যায়ই বেশীদিন টেকে না। সরকার রিক্সাভাড়া নির্ধারণ করে দিতে পারে বিভিন্ন স্থানে বিলবোর্ড দিয়ে যা বেশ কয়েকটি শহরে করা হয়েছে।

সৃষ্টিকর্তা সবার মনে রহম দিক।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.