রাতের গভীর অন্ধকার মানুষের অস্তিত্বকে আপেক্ষিক করে তোলে , তবুও অস্তিত্বের প্রয়োজনেই সে স্বপ্ন দেখে - একদিন ভোর হবেই .......... কয়েকদিন যাবত পত্রিকায় দেখতেছি বাফুফে আর কাজী সালাউদ্দিন স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনাকে ঢাকা আনার জন্য উঠে পড়ে লাগছে। মোট খরচ লাগবে ৫০ কোটি টাকার মত। এতে নাকি এদেশে ফুটবলের আগের জনপ্রিয়তা ফিরে আসবে। দর্শক গ্যালারীমুখী হবে। আমি বার্সার বিরোধিতা করি না কারণ আমি নিজেও বার্সার সাপোর্টার।
আমার কথা হচ্ছে আরেকবার তো আর্জেন্টিনা আর নাইজেরিয়া খেলে গেছে এখানে। কই কিছুই তো হলো না। আমাদের ফুটবলের অবস্থা আগের মতই আছে। এখনো এদেশে ফুটবলের দর্শক খেলোয়াড় আর দলের কর্মকর্তারাই। কেউই এদেশের ফুটবল খেলা মাথায় নিয়ে যাবে না।
যাবে মেসি আর বার্সার তারকা প্লেয়ারদের দেখার জন্য। উৎসাহ এতটুকুই তারা মেসিকে দেখবে বার্সাকে দেখবে। মেয়েরা স্ট্যাটাস দিবে, “মেসি কত চুইট”, কি কিউট মেসি ছেলেটা”। আবার অনেকে মেসির উপর ক্রাশ খাইতে খাইতে অজ্ঞান হয়ে পড়বে। ছেলেরা বলবে, বার্সা রকস, মেসি বস, ইনিয়েস্তা রকজ।
আরও কত কিছু। সবকিছু ঐ মেসি বার্সা আর ইনিয়েস্তা এর মধ্যেই শেষ। খেলা শেষ আমাদের ফুটবলও শেষ।
এই যে আমাদের ক্রিকেট এত দূর চলে গেছে। আন্তর্জাতিক ম্যাচে ১০০ টাকার টিকিট হাজার টাকা দিয়েও কিনতে রাজি থাকে।
দর্শক আছে কিন্তু টিকিট নাই। সারাদিন লাইনে দাঁড়িয়ে থাকে একটা টিকেটের জন্য। এত উৎসাহ, এতো আগ্রহ। সেটা কিন্তু আমাদের দেশের ক্রিকেটেরই অবদান। অন্য দেশ এসে এখানে খেলে দর্শককে গ্যালারীমুখী করার প্রয়োজন হয় নাই।
অথচ বাফুফে এতো শ্রম আর টাকা যদি রুট লেভেল থেকে ভালো কিছু ফুটবলার বের করে আনার জন্য চেষ্টা করত, ফুটবলের মানউন্নয়নের কাজে ব্যয় করত তাহলে আর যাই হোক অন্তত ফুটবলের অবস্থা আরও ভালো হতো এটা বলা যায়। তখন স্পন্সরের জন্য সবার দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হবে না। বার্সাও এতো টাকা চাইবে না। জোর করেও মাঠে দর্শক আনার প্রয়োজন হবে না। দর্শক এমনিতেই আসবে।
জোর করে মাঠে দর্শক আনা যায় না। আগ্রহ আর উৎসাহ সৃষ্টি করতে পারলে দর্শক আসবেই। খেলার মান উন্নয়ন আর উৎসাহ সৃষ্টির মাধ্যমেই সেটা সম্ভব।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।