বার্সেলোনা তারকা মেসি ও তার বাবার বিরুদ্ধে ২০০৬ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত প্রায় ৪০ লাখ ইউরো কর ফাঁকির অভিযোগ রয়েছে। যদিও গত মাসে ৫০ লাখ ইউরো স্পেনের আয়কর বিভাগে জমা দেন মেসির বাবা। অতিরিক্ত ১০ লাখ ইউরো বকেয়া করের সুদ হিসেবে দেন তিনি।
তবে বকেয়া পরিশোধ করলেও কর আইন অমান্য করায় মামলা এড়াতে পারেননি টানা চারবারের ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলার মেসি।
শুক্রবার শুনানি শেষে আদালতের পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি।
আদালত থেকে বেরিয়ে এসে মেসি কিংবা তার বাবাও কোনো কথা বলেননি।
তাদের আইনজীবি ক্রিস্তোবাল মার্তেল জানিয়েছেন, “মেসি ও তার বাবা প্রমাণ করেছেন যে কর ফাঁকি দেয়ার কোনো ইচ্ছা তাদের নেই। বরং তাদের ইচ্ছা আয়কর বিভাগের সঙ্গে সরাসরি এই সমস্যা সমাধান করার। ”
গত মাসে বিচারকের কাছে লেখা চিঠিতে মার্তেল বলেন, সঠিক সময়ে কর পরিশোধ না করার ভুলটা মেসির বাবার। আর তাই মেসিকে এর সঙ্গে না জড়ানোর আবেদন করেন তিনি।
মামলাটি খারিজ হয়ে যাবে নাকি অভিযুক্তদের জরিমানা করা হবে বিচারক সেই সিদ্ধান্ত নেবেন। সর্বোচ্চ আদালতের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, মামলাটি দীর্ঘায়িত না করাই উচিৎ।
বাবার জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছোট ভাই রদ্রিগোকে সঙ্গে করে আদালত প্রাঙ্গণে হাজির হন মেসি। এ সময় তাকে দেখার জন্য শত-শত মানুষ ভিড় করে। অনেকের মুখেই শোনা যাচ্ছিল ‘মেসি দীর্ঘজীবি হও’, ‘প্রেসিডেন্ট মেসি’ ও ‘তুমিই সেরা’ চিৎকার।
কেউ-কেউ অবশ্য ‘ধোকাবাজ’ বলেও চিৎকার করছিল!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।