আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

উদ্ভ্রান্ত কিশোরী



তুমিতো এখনও অক্ষতাযোনী; পবিত্রতার আলো ঘিরে আছে বটে~ কিন্তূ তা গেরুয়া গোঁধূলী। তোমার কবুতরী স্তন তার চেয়ে আর স্বাদু কোন খাদ্য জানা নেই আমার। যেকোন রহস্যই উন্মোচিত হয় সময়ান্তে, উন্মোচিত হওনা কেবল তুমি। তোমার কুঁড়ির সিক্ত গন্ধ আমি কোন ফুলে পাইনি এখনও। অথচ কিশোরী, পরম যত্নে তোমার ওই রত্ন তুমি ঢেকে রাখ পোশাকের আড়ালে।

দূরে থাকতে চাও?...বেশ! দুরত্বেই থাকো তুমি! কিন্তূ যে একদিন তোমার নিকট হতে চায় তাকে আজও জানতে চাওনি বলেই দুরত্বের সাথে এত সখ্যতা তোমার~ ওইতো তুমি......আমার স্পর্শের দিগন্তে; ছুটে গেলে সবই মরিচীকা। আমিতো তোমার সেই কাঙ্খিত নই, হৃদয়ের জানালা দিয়ে তাকিয়ে দেখি তুমি নিখোঁজ হতে চলেছ অথচ ছোট্ট হাঁসের মতই ঘন ঘন সতর্ক চাউনি! আমি দেখি তোমার চুলে ভেঙ্গে পড়া সোনালী রোদ্দুর দেখি তোমার টানটান জামা, পাজামা...... উঃ! কি মসৃন সেই উরূ! স্তন কিঞ্ছিত টিলাসম~ হাওয়ায় ভেসে আসে সুগন্ধ, মাংস ঘ্রাণ। অগ্ন্যুৎপাত ঘটে যেন আমার অব্যবহৃত শরীরে, বিস্ফোরনে ফেটে পড়ি আমিও মাংস ঘ্রাণে~ দূর জানালায় দাঁড়িয়ে আমিই একা দেখছি তোমায়। তোমার তন্বীর প্রতিটি অনু-পরমানুতে জ্বলছে আগুনের লেলিহান শিখা~ দমকলের সাধ্য নেই তা নেভাবার~ আমিই একমাত্র ব্যতিক্রম। তোমার মুখ মাংস সবুজ কিন্তূ লাল; নক্ষত্রের হাসিতে উজ্জ্বল তোমার ঐ চোখ~ যখনই হারাতে চাই সূর্যের প্রখর রোদ সোনালী চিলের মতন বিদ্ধ করে তার শিকার, এই আমাকে! তোমার নরম অধর, গোলাপী অধর ভাসিয়ে নিতে পারে সবকিছুই......আমাকেও .........কিন্তূ তা খিলে আঁটা।

তোমার ঐ হাত...মাখনের মতন দুগ্ধফেনিনাভ দুটি হাত এখনও কামের ঘামে ভেজা নয়... তাই কি আমি কল্পনায় ছুঁয়ে ছেনে চলি আবিরাম? আমি দেখে নিব অবশ্যই দেখে নিব তোমার ঐ দেহ কিভাবে ভাঙ্গে! কিভাবে সঙ্গমের লাল ক্রোধে ছিন্ন হয় তোমার ঐ জঙ্ঘা যোনি, ঐ স্তন... ছিন্ন কেউ করবেই একদিন; ঝর্ণার সুড়ঙ্গ খুলে দিয়ে ডুবুরি হবে সে একদিন... অকস্মাত তোমার ঝিনুকে পেয়ে যাবে দূর্লভ মুক্তার সন্ধান নিশ্চই ঈশ্বর প্রসন্ন তার প্রতি! কেননা সে কোনদিনই খোঁজেনি তোমাকে, জানেনি তোমাকে, জানেনি তোমার কিছুই~ নপুংশক জানেনা কেমন করে গ্রহন করতে হবে তোমাকে... নিতে হবে তোমার আস্বাদ! তোমাকে পাবার মতো... তোমাকে নেবার মতো... (তুমি এমন নিষ্ঠুর!) মিথ্যা আবেগে খুব হলে বলতে পার এ আমি কি পেলাম! ভাগ্যবান সেই সে পুরূষ, সেই তোমার ডুবুরী...পাশব পেশীর চাপ প্রতি অঙ্গে যার! জন্মের আগেই যদি মাতৃগর্ভে মৃত্যু হতো তার? হায়রে ভাগ্য আমার! আসলে এমনই হয়... এইসব লোক পৃথিবীতে বেঁচে থাকে বলবান উত্থিত ধ্বজায়, বেচে থাকে কামে ঘামে তোমারই অপেক্ষায়, কিশোরী......... এবং বাস্তব এমনই যে বিন্দুমাত্র কিছু না জেনেই তাকেই তোমার সব দিবে তুমি! মেতে উঠবে খেলায়...... হেসে উঠবে শয্যায়...... ভেঙ্গে যাবে তারই তাড়নায়... গোধূলীর নিভে আসা আলোর মতন! আমি দিব্য চোখে দেখতে পাচ্ছি তুমি ও তোমার ভেতরের সব কল্প-সম্ভাবনার মৃত্যু যন্ত্রনা...... অথচ তুমি দেবে সমস্ত তোমার! তাকেই সমস্ত দেবে, কেটে নিতে দেবে তাকে কুমারীত্বের পর্দা...সোনালী সঙ্গমে! তুমি...সেই তাকে...যেই হোক প্রথম যে কেউ এসে হেসে বলবে ... আয়! তুমি হাত বাড়িয়ে দেবে তাকেই! নাটকের শেষাঙ্ক না জেনেই। সময়তো এরকমই! পাড়ার বদ্ধ পাগলের মতন অকারনে হাসে খ্যাক খ্যাক করে। সময়তো এরকমই! ভাগ্যের সাথে পরিহাসপ্রিয়... মহাকাব্যও ছুড়ে ফেলে দেয়। আর শোন! কিশোরী আমার! কৈশোর উন্নীত হয় যৌবনেই... যৌবনের অক্টেন পেট্রোলে জীবনের ইঞ্জিন চলে...গতি পায়, ছুটে যায় কাল থেকে মহাকালে। কেবল নিঃসঙ্গ বসে থাকে বৃদ্ধেরা তারা ক্রমাগত পিছু হটে যেতে থাকে পিছু হটে যেতে যেতে তাদের বাল্যকালে পৌছায়...স্মৃতি রোমন্থন করে তাছাড়া আর কি উপায়? নিজস্ব অগোছালো ঘর......বড়ই একা আমি...... বসে আছি ঘোর মনঃস্তাপে; মেঘলা আমার ভালোবাসা।

ক্রমাগত বড় হচ্ছে কিশোরীর স্তন যৌবনের অনিবার্য চাপে.........!!! (একটি বিদেশী কবিতার ভাবানুবাদ) ডিসেম্বর ১৮, ২০০২ সকাল ০৯-৩৫

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।