আসেন দুর্নীতি করি। আর এই দুনিয়াটাকেই খুচাই!
রাতটা কেটে গেলো আকাশের তারা খুজতে খুজতে যদিও পুরো আকাশ আধার করে মেঘ জমে ছিলো সারাটা ক্ষন। ঘুম যেনো পালিয়েছে বিষন্নতার ধাওয়া খেয়ে। এক বন্ধু বলেছিলো বিষন্নতায় বুকের ভিতর তৈরী করে এক অস হযোগ আন্দোলন আর মস্তিষ্ক আর হ্রৎপিন্ড বন্ধু হয়ে কাজ করে ভিতরের সবকিছু ঠান্ডা রাখবার জন্য। হতে পারে, আমার জানার ইচ্ছে নাই, শুধ জানতে ইচ্ছে করছে কাল কি হবে?
সকাল বেলা ধরতে হবে ট্রেন, এক মিনিটও দেরী করা চলবে না, কিন্তু কিছুক্ষন আগে থেকে যেতে আর মন চাইছে না।
কেনো যাবো সেটার প্রশ্নের উত্তর এখনো তার অজানা। পকেট হাতড়াতে থাকলাম ডায়েরীটার জন্য, কিছু লেখা দরকার, মনের অনুভূতিটা সংরক্ষন করা প্রয়োজন। হয়তো কোনো এক বৃদ্ধ সময়ে অপরাহ্নের অস্ত দেখতে দেখতে হাতড়াতে থাকবো পুরোনো সুখ আর ডায়েরীটায় থাকবে সেই সুখের চাবি। কেনো যেনো ধরে নিয়েছি সুখ আমার জন্য নয়, আমার জন্য জীবনটা হয়ে গেছে ওয়ারওল্ফের মতো অভিশপ্ত কিছু যে ছুটে পালায় নিজের সেই অভিশপ্ত রূপটির থেকে।
কাল সন্ধ্যায় জোয়ান জানালো দেখা করতে চায়।
ভার্সিটিতে একই সাথে পড়ছি, ল্যাবে খুব একটা কথা হয় না আর ক্লাস বলতে তো আমি সদা আমাবস্যার চাদ। ওই খবর নেয়, বলে ওর প্রজেক্টের কি খবর, জানতে চায় আমি কি করছি! আর কত হলে পড়ালেখাটা আবার শুরু করতে পারবো। কেনো যেনো একটা শন্কা জেগে গেছে আমার পাস আউট হতে অনেক দেরী হবে ততদিনে হয়তো ও চলে যাবে সময়ের স্রোতে ভাসতে ভাসতে অনেক দূরে।
: হ্যালো, কি করছো?
: উমমমম...মেঘের পিছনে লুকিয়ে থাকা তারাদের খুজছি।
: কবিতা লেখবে?
: ওটা আমার দ্বারা হয় না।
মিছে চেষ্টা করি না!
: তোমাকে দেখতে মন চাইছে, হয়তো তোমার প্রশ্নের উত্তরটা আমি এখন জানি।
: কোন প্রশ্নটা?
: রনি, ডোন্ট ম্যাক ফান উইথ মি। আমি জানি তুমি টোমার প্রশ্নটা ঠিকই মনে রেখেছো।
: হুমমম...তো?
: কালকে আসতে পারবে?
: না...অনেক কাজ। সামনের মাসের আগে একটু চিন্তা করতে পারছি না একদিনের ছুটির!
: আচ্ছা....তবে আমি চার্চে অপেক্ষা করবো!
: কেনো আমাকেই আসতে হবে?
: তোমার উত্তরটা আমি জানি এটা জানাবার জন্য!
ফোন কেটে দিয়েই ভাবতে বসেছি, নেটে টিকেটও বুকিং দিলাম সস্তায় রেট পেয়ে।
পুরো ৪ ঘন্টার যাত্রা, তবু যেতে হবে।
প্রশ্নটা তেমন কিছু না। একদিন ক্যাফেটেরিয়ায় বসে বসে ফান্টা খাচ্ছিলাম হঠাৎ পিছন থেকে কে এসে চোখ জাপটে ধরলো।
: আহ....মোলায়েম হাত, আর গুচ্চির সেন্ট। আর চুলের দু একটা আমার ঘাড়ে।
কিন্তু কে সেই মেয়ে?
হঠাৎ চোখ খুলে মুখটা সামনে এনে বলে উঠলো,"হায়! একা বসে আছো যে?"
: ওহ জোয়ানা....কি করবো বলো, আমি তো আর ডানা কাটা পরী নই! আমি হলাম ঘর পোরা গরু!
: বুলশীট, ডোন্ট টক লাইক এসহোল। ইউ আর নট এ্যাসহোল। ইউ আর রনি। লান্ঞ্চ করোনি নিশ্চয়ই?
: টাইম পাইনি...ইউ নো.... দ্যা ল্যাবস!
: কালকের এসএমএসটার মানে কি?
: কোনটা?
: ঐ যে বললে, আমাকে খুব দেখতে মন চাইছে।
: তুমি একটা সুন্দর মেয়ে, একটা সুন্দর মেয়েকে পূর্নিমার রাতে তারা দেখবার সময় মন চাইতেই পারে।
কোনো প্রবলেম`?
: হুমমমম...তোমাকে ইদানিং একটু অন্যরকম লাগছে, ঝেড়ে কাশো রনি।
: একটা প্রশ্ন করি যদি তুমি মাইন্ড না করো!
: এক শর্তে...ম্যাক থেকে বার্গার এনেছি, যদি তুমি শেয়ার করো!
: কারটা ভাগেরটা খাওয়ালে?
: সবসময়ই দুষ্টুমি ভালো লাগে না!
: ওকে!
: এবার প্রশ্নটা!
: প্রশ্নটা হলো ধরো আমি একটা মেয়েকে প্রচন্ড ভালোবাসি আর ধরো সে মেয়েটা তুমি। তাহলে আমি যদি প্রপোজ করি তাহলে এর সম্ভাবনা কতটুকু?
: সত্যি কি তুমি কারো প্রেমে পড়েছো?
: মনে হয়, তবে আমি জানিনা, ঠিক বুঝতে পারছি না, আসলেই আমি প্রেমে পড়ার যোগ্য কিনা!
: ওহ রনি, দ্যাট বুলশীট পাস্ট! ফরগেট ইট। জাস্ট গো এন্ড প্রপোজ হার। তবে আমার দুর্ভাগ্য যে সে আমি না!
আমি ওর দিকে তাকালাম আবার, ধব ধবে সাদা গাল দুটো লাল হয়ে আছে।
নীচের দিকে তাকিয়ে কি যেনো ভাবছে। আমি হেসে দিলাম। বললাম," উঠি!"
ও কিছুই বললো না। পকেট থেকে মোবাইলটা বের করে যেতে যেতে একটা এসএমএস লিখলাম,"I think it's you!"
তারপর অনেকবার দেখা হয়েছিলো, শেষবার যখন ইউনিতে গেলাম তখন এক সাথে লান্ঞ্চ করলাম, পুরো শহরটা ও ঘুরলো আমাকে নিয়ে। কিন্তু এ বিষয়ে আর কথা হয়নি!
কি করা যায়? ট্রেনতো মিস করে ফেললাম আজ, কাল কি যাবার চিন্তা করা যায়?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।