রিজওয়ানুল ইসলাম রুদ্র
এভাবে নয় তবুও গাঢ় কুয়াশায় নেশাগ্রস্ত শ্বাপদের মতো নিজেকে লুকিয়ে রাখা স্নিগ্ধ মৃত্যুর কাছে। পুরনো শহরের ঘ্রাণ ছড়িয়ে যায় চারপাশে... হারিয়ে যাওয়ার উৎসবে নিমগ্ন সদ্যভূমিষ্ঠ নির্বাক শিশু! ক্রোধের নীল আগুন নির্বাপিত হয়ে আরো কাছে ফিরে আসে।
নিঃসীম রাতে ক্ষয়ে যাওয়া প্রাচীন তারা’র ম্লান আলোয় মুছে গিয়েছিলো ঘুমের ভেতর জেগে ওঠা রঙিন স্বপ্নবৃন্ত। পুরনো মানুষদের হাত ধরে জোছনা দেখছিলো— সে... পাশে এক অবাঞ্ছিত শিশু। চকচকে বালির উপর এখনো স্নাত তার পদচ্ছাপ।
কিন্তু মুছে গ্যাছে— শরীরে লেগে থাকা দাগ— হত্যাচেষ্টার। হঠাৎ চিরস্থায়ী যুদ্ধের আয়োজন : প্রচণ্ড শব্দে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়লো সব। তৃষ্ণার্ত মারণাস্ত্রের আঘাতে ক্ষত-বিক্ষত তার সমগ্র শরীর... সেই হতভাগ্য শিশু— রক্তে ভিজে সে যেন এক ফুটন্ত গোলাপ!
তাদের শিহরিত অন্ধচোখ ঘুমের শব্দে জেগে ওঠেনি কখনো। যুদ্ধাহত সকালে উন্মুক্ত রোদের তীব্রতা ঘৃণা হয়ে মুছে গিয়েছে। ক্ষুধার্ত শ্বাপদের হাতে ঘটছে অজস্র অপরিণত শিশুর শ্লীলতাহানি! যে অনিবার্য সত্য প্রকাশ্য মিথ্যার চাদরে আড়াল করে রেখেছে ছায়াহীন বনসাই : তার স্পর্শে ক্ষয়িষ্ণু মানবতা গাঢ় নিঃশ্বাস ফেলে অন্ধকারের পথে চন্দ্রাহতের মতো হাঁটছে...
ক্লাস্টার বোমা কিংবা গ্রানাইটের দেয়ালে আততায়ী শ্বাপদেরা গড়ে তুলছে বিধ্বংসী পানশালা।
যুদ্ধের রঙে ছবি এঁকে স্নিগ্ধ শিশুরা ভুলে গিয়েছে সুপ্রাচীন বর্ণমালা!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।