আমি পড়ি, লিখি, মুভি দেখি, ঘুরে বেড়াই আর আড্ডা দেই......:)
১৯৮০ সাল থেকে দেশে মাশরুমের চাষ শুরু হলেও প্রচার বা ট্রেনিংয়ের অভাবে এর খাদ্যপ্রিয়তা তেমন বাড়েনি। এরপর ৯০-এর দশকে মাশরুম চাষ সম্পর্কে চাষীদেরকে প্রশিণ দিতে সাভারে প্রতিষ্ঠা করা হয়
কিছুদিন আগেও মাশরুম পরিচিত ছিলো ব্যাঙের ছাতা নামে । যাকে বাড়ীর পাশে পড়ে থাকা শ্যাওলা বা খড় কুটোর মতোই অপ্রয়োজনীয় মনে করা হতো। কিন্তু বর্তমানে এই মাশরুমই হয়ে উঠেছে দেশের সবচেয়ে সম্ভাবনাময় সবজীগুলোর একটি। নানা ঔষধি গুণে ভরা এ সবজী চাষ করে, এখন দেশের বাইরে রপ্তানির কথাও ভাবা হচ্ছে।
মাশরুম এমন একটি সবজী যা উৎপাদন করতে রাসায়নিক সার, কীটনাশক এমনকি জমিরও দরকার হয় না। গত কয়েক বছর ধরে দেশে এই সবজী চাষের প্রবণতা যেমন বাড়ছে, তেমনি বাড়ছে খাবার হিসেবে এর চাহিদাও।
স্বল্প খরচে মাত্র দুই মাসের মধ্যেই খাবার উপযোগী হয় মাশরুম। ফলে ইতোমধ্যেই সারাদেশে মাশরুম চাষের ওপর ২০০টিরও বেশী বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠেছে। সৃষ্টি হয়েছে হাজার হাজার লোকের কর্মসংস্থান।
বর্তমানে দেশে মোট সাত প্রজাতির মাশরুমের, ৩০ ধরনের চাষের ওপর গবেষণা চলছে। অন্যদিকে, পুষ্টিগুণে ভরা মাশরুম দিয়ে অনেকেই তৈরী করছেন নানা ধরনের খাবার ।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মাশরুমের আবাদ বাড়িয়ে, তা রপ্তানির মাধ্যমে মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের সুযোগ রয়েছে।
কর্তৃপ বলছেন, মাশরুমের গুণগত মান নিয়ন্ত্রণের জন্য এ বছরই একটি ল্যাবরেটরি স্থাপন করা হবে। আর তা সম্ভব হলে, খুব শিগ্গিরই এসব মাশরুম দেশের বাইরেও রপ্তানি করা সম্ভব হবে বলে তারা মনে করছেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।