যখন বিকাল হতে থাকে, হতে হতে সূর্যটা ঢলে পড়ে, পড়তে থাকে
বেশ কিছু রাত্র নির্ঘুম কেটেছে ওদের তিনজনের। জেল কর্তৃপক্ষ তিনজনকেই সুন্নতী কায়দায় দেখভাল করছে। অন্তস্থ সব অযাচিত লোম পরিষ্কার করার দায়িত্ব দিয়েছে আজকের আগত মহামান্য অতিথির দলীয় একটিভিস্টদের দিয়ে। আতর, সুরমা ও সরবত খেয়ে তারা মোটামুটি রেডি।
এসব আয়োজনই জামাতে ইসলামীর আমীর মহামান্য মতিউর রহমান নিজামীর জন্য।
ইসলামিক টিভির রিপোর্টার ইতিমধ্যে তিনজনের সাক্ষাৎকার নিয়েছে। একজনের ওজন মোটামুটি একশ দশ কেজি হবে, লম্বা সাত ফিট, আফ্রিকান ব্যাম্বো শরীর, সে তার নিম্নাঞ্চল থেকে হাত সরাতেই পারছিল না। বললো, জেল কর্তৃপক্ষ আজ বিশ বছর পরে আমার প্রতি সদয় হয়েছে। হুজুরের প্রথম সেবা করার দায়িত্ব পেয়েছি!
দ্বিতীয় জন ও দাগী আসামী। ষোলো বছর যাবত জেলে আছে।
তিনি বললেন, নিজামী সাহেবকে আমি এমন সেবাই দেব, আশা করা যায় তিনি বেচে থাকলেও সারাজীবনে আর পাকিস্থানী যন্ত্রের প্রেমের কথা স্বীকার করবেন না!
তৃতীয় জন বেশ নিরীহ। ত্রিশ বছর যাবত জেলে। তার বক্তব্য একটাই। নিজামীর পুরো মুখমন্ডলে তিনি শুভ্রতার নতুন এক পলেস্তারা পড়িয়ে দেবেন!
প্রস্তুতি সম্পন্নের পরে নিজামীকে বহুল আকাঙ্খিত সেলের মধ্যে প্রবেশ করানো হল।
একটু আগে ইসলামিক টেলিভিশনের নিউজে দেখলাম, নিজামীর আর্তচিৎকার নাকি মগবাজার থেকেও শোনা গেছে।
আলহামদুলিল্লাহ!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।