যখন বিকাল হতে থাকে, হতে হতে সূর্যটা ঢলে পড়ে, পড়তে থাকে
আমাদের রপ্তানীকারক সংঘের সংগীত প্রীতি দূর্দান্ত। মানে চেহারা দেখলেই গলার স্বর টের পেয়ে যাই। শুধু গলা কেন, অশ্বনিতম্ব, ব্যাকগ্রাউন্ড, প্রপ্রত্তি, এসব বেশী রপ্তানীযোগ্য মনে হয়। মাঝেমাঝে কি গাইলো, কেন গাইলো এসব আর তখন বিবেচ্য থাকে না বলে চেয়্যারম্যান সাহেব আমাদেরকে অভ্যর্থনা করলেন মোটামুটি সুবিশাল "কিছু" সাইজের কিছু গানবালিকাদের দিয়ে। উনি দেখলাম বহুত সমঝদার লোক।
গানের পাছা, আগা সব কিছু ভাল করে দেখে নিয়োগ দেন।
আমরা যথারীতি তার আবলুস কাঠের সেক্রেটারীট টেবিলের সামনে। ইদানিং গান শোনার নতুন যে রীতি উদ্ভাবিত হয়েছে তাতে মোটামুটি বিশ্বব্যাপী শব্দ দূষণ দূরীভূত হবার এক অপার সম্ভাবনা জাগ্রহ হয়েছে। এই স্তন্যপায়ী গানের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে আপনাকে ভলিউম কমিয়ে নিতে হবে - এবং মনিটরের খুব সন্নিকটে বসে আপনাকে দেখতে হবে। চোখ দিয়ে গান শুনবেন।
কোন শব্দদূষণ নেই।
গতবছরের সার্ভে রিপোর্টে দেখা গেছে বিশ্বে প্রায় তেত্রিশ ঘনলিটার গান রপ্তানী হয়েছে। এতে পরিবেশের দূষণ হয়েছে আগের বছরের দ্বিগুন এবং বাংলাদেশ অবদান রেখেছিল ১.৫ পার্সেন্ট যা আমাদের পরিবেশ দূষণের মাত্রাকে বাড়িয়েছে আশংকাজনকভাবে। কিন্তু প্রভা রহমান গান গাইতে শুরু করার পরে এই সমস্যা ভোজভাজির মত উধাও হয়ে গেল। সর্বত্রই এখন এই একজন শিল্পীর গান মানুষ শোনে।
অভাবনীয়ভাবে চোখ দিয়ে গান শোনার পদ্ধতি আবিষ্কার হবার পরে - সংগীত বিষয়ক সাউন্ড পলিউশনের মাত্রা কমেছে প্রায় ৮০ শতাংশ। বিশ্ব শব্দ দূষন সংস্থা যারা জাতিসংঘের একটা সাবসিডারী প্রতিষ্ঠান - এই বিপুল সাফল্যে যারপরনাই আল্লাদিত। প্রভা রহমানকে নিয়ে বিশ্বের বড় বড় শহরে কনসার্ট করাতে চায়।
তাদের আগ্রহের কথা কামফুজ সাহেবকে জানাতেই তিনি মুখ কালো করে ফেললেন। গানবালিকাদের সামনেই নিজের প্যান্ট খুলে নিতম্ব প্রদর্শন করলেন।
তারপরে জিজ্ঞাসিলেন, কি দেখলেন?
আমরা মুখ চাওয়াচাওয়ী করি। সেখানে কিছুই নেই। তিনি আবার নিজের চেয়ারে বসে বললেন, কিছুই দেখলেন না তো! ঠিক না?
আমরা মাথা ঝাকাই। তিনি বলেন, এ পর্যন্ত যত গান আমি বাংলার মানুষকে দেখিয়েছি তার জন্য আমার সব বাণিজ্য এইখান থেকে বেড়িয়ে গেছে! তারপরে অনেকে আবার কেবল অর্থেই সন্তুষ্ট নয়! বুঝতেই পারছেন কি বোঝাতে চেয়েছি!
কিন্তু আমাদের মাথায় ঢোকে না। আমি বললাম, কিন্তু স্যার, আপনি তো গান গাচ্ছেন না, গান তো গায় প্রভা ম্যাডাম!
কামফুজ সাহেব হো হো করে হেসে ওঠেন।
বলেন, গান সে ঠিকই গায়। এই বলে আবারও তিনি নিতম্বের আবরণ খুলে দেখালেন। তারপরে বললেন, কিন্তু সে গান আমার এই জায়গা দিয়ে কেবল শোনা যায়, আর আমি একলাই শুনি! বাকী সবাই তো গান দেখে!
না, ভাই, বিশ্বব্যাপী কনসার্ট করার মত বাণিজ্য আমার হয় নাই।
আমরা তাকে আশ্বস্ত করি, না না স্যার, আপনাকে কোন খরচ করতে হবে না। সব খরচ বহন করবে বিশ্ব শব্দ দূষণ সংস্থা!
কামফুজ সাহেব এবার কুকড়ে গেলেন।
আমার হাত চেপে ধরে বললেন, না ভাই, আমার অভিজ্ঞতা আছে, যারা অর্থ ছাড়া কনসার্ট করায় তারা আবার প্রভাকে কষ্ট দেয়।
উহ! বড় কষ্টে মনে হলো তিনি একটু নিতম্বে ভর দিতে পারলেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।