সেই সময় আমাদের অর্থনৈতিক অবস্থা খুব একটা ভাল ছিল না। এখনও আবছা আবছা মনে পরে দাদা যখন দেশের বাড়ী থেকে আসত তখন বিকালের দিকেই মনে হয় (আছরের নামাজের পরে) উনার সাথে হাটতে বের হইতাম, আর আমার ডান/বাম হাতের তর্জনি থাকত দাদার মুঠায়। এখনও চোখ বন্ধ করলে সেই সুখানুভুতি অনুভব করি।
সেইবার মনে হয় আব্বা দাদাকে একজোড়া নতুন জুতা কিনে দিছিল। দাদা সেই জুতা পেয়ে খুবই খুশি হইছিল আর সবাইকে বলছিল তার ছেলে তাকে জুতাটা কিনে দিসে আর দেখাচ্ছিল তার ছেলের দেয়া নতুন জুতা।
কিন্তু সুখ নাই কপালে। ঐদিনই আছরের নামাজ শেষ করে দাদা খালি পায়ে বাসায় ফিরল আমাকে নিয়া, তখনও যথারীতি আমার তর্জনি তার হাতের মুঠায়। বাসায় এসে কাদো কাদো গলায় বলল আমার পোলার দেওয়া জুতাটা চোরে নিয়া গেছে। দাদার কষ্টটা তখন সেইভাবে বুঝতে পারি নাই বা সেই বয়সে পারার কথাও না। কিন্তু এখন মনে পরলে কষ্ট লাগে খুব।
এখন আমি আমার দাদাকে প্রতিমাসে এক জোড়া জুতা কিনে দিতে পারি। কিন্তু জুতা পরার মানুষটা এখন আর এই পৃথিবীতে নাই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।