২০০৩ সালের কথা। বাংলাদেশ সরকারের একটি মন্ত্রণালয়ে আইটি কনসালটেন্ট হিসাবে কাজ করতেন আমার একজন ঘনিষ্ট আত্মীয়। তার প্রজেক্টে কম্পিউটার ট্রেনিংএর জন্য একজন পার্টটাইম ল্যাব অ্যাসিসট্যান্ট দরকার ছিল। দুই সপ্তাহের জন্য। বেতন খুব কম।
৩ হাজার। তিনি একটা কম্পিউটার সায়েন্স থেকে সদ্য গ্রাজুয়োট ছেলেকে কিভাবে পেয়েছিলেন। ছেলেটি দুই সপ্তাহ কাজও করেছিল। কিন্তু, তিনি তার বেতন থেকে পুরো টাকাটা কেটে নিয়েছিলেন। কেননা, তার কাছে থাকা প্রজেক্টের একটা পেন ড্রাইভ নস্ট হয়ে গিয়েছিল।
মজার ব্যাপার হচ্ছে, ছেলেটি নিজামীর ভাইরার ছেলে। জেনে শুনেই আমার আত্মীয় তাকে শাস্তি দিয়েছিলেন। অন্য কোন মন্ত্রীর ক্ষেত্রে কি বিষয়টা কল্পনা করা যেতো?
সেই একই প্রজেক্টে কয়েকজন কম্পিউটার অপারেটর নিয়োগ দেয়া হয়। আমার আত্মীয় ইন্টারভিউতে ছিলেন। ইন্টারভিউতে যে ছয়জন সবথেকে খারাপ করেছিল, তাদেরকে নেয়া হয়েছিল।
কেননা, তাদের তিন জনের জন্য ছিল উক্ত মন্ত্রণালয়ের একজন প্রতিমন্ত্রীর (যিনি পরে দুর্নীতির প্রতিবাদে সংস্কারপন্থী হয়েছেন), এক জনের জন্য সচিবের এবং আর দ্ই জনের জন্য দুই সরকারী কর্মকর্তার সুপারিশ ছিল।
নৈতিকতার দিক থেকে নিজামীর সাথে অন্যদের কত পার্থক্য। এখন তাকে দুর্নীতির মামলায় ফাসানো হচ্ছে, দলান্ধ ব্লগারেরা এমন ভাষায় তাকে আক্রমণ করছেন যে, মনে হচ্ছে, তিনি দেশের কতবড় ক্ষতি করেছেন। আমরা সৎকে সৎ না বলে চোর বলতে পারি, তাতে সৎলোকের হযতো অসম্মান হবে, মনোকষ্ট হবে, কিন্তু, তার তেকে বেশী ক্ষতি হবে আমাদেরই। আসল দুর্নীতিবাজেরা দেশটাকে চুষে খাবে।
যে ভূমিতে উপকারী উদ্ভিদকে আগাছা ধরে ধ্বংস করা হয়, সেটি আগাছাতে ভর্তি হয়ে যাওয়াটাই স্বাভাবিক।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।