একত্ববাদী ধর্মের সাথে বিশেষতঃ ইসলামের সাথে বিজ্ঞানের ধারনার সঙ্গতি আছে। এক বা এককের ধারণা হচ্ছে পুরোপুরি বিজ্ঞান সম্মত ধারণা বরং বলা উচিত বিজ্ঞানের নিজস্ব ধারণা। মহাবিশ্বের সবর্ত্র 'এক' বা একক কেন্দ্রিয় নিয়স্ত্রণ আছে এ ধারণা বিজ্ঞানের একটি মৌলিক স্বীকার্য। মহাজগতের ঘটানাবলীর 'এক' বা একক নিয়ন্ত্রণ না থাকলে বিজ্ঞানের কোনো অনুমান বা হাইপোথিথিস থাকা সম্ভব নয়। এক ঘটনার সাথে আরেক ঘটনার সম্পর্ক নির্ণয়ের মাধ্যমেই বিজ্ঞান হয়ে উঠেছে একটি ডিসকোর্স।
বিজ্ঞানে কোনো কিছু প্রমাণ করার আগেই ঘটনাটির সাথে অন্য ঘটনার সম্পর্ক আছে বলে অনুমান করা হয়। অতীতে, বর্তমানে এবং অনাগত ভবিষ্যতে যত আবিস্কার হবে সবই এই 'এককের' নীতি মেনে চলা ছাড়া অচল হয়ে পড়বে। বৈজ্ঞানিক কার্যকারণমালার যদি কোনো কেন্দ্রিয় যোগসূত্র না থাকে তবে আল্লাহর কসম বিজ্ঞানের পথ চলা এখানেই শেষ এবং অতীতের সব বৈজ্ঞানিক আবিস্কার মিথ্য হয়ে যাবে। বিজ্ঞানের সাথে এক বা এককের সম্পর্ক অতীব নিবিড়? ইসলাম ধর্মও তো মহাজগতে একক নিয়ন্ত্রণের কথা বলে। তাই এ দু'য়ে অমিলের চেয়ে মিলই বেশি।
এ পোস্টে কথা এসেছে নাস্তিকরা তাদের পক্ষে বিজ্ঞানকে সাপোর্ট হিসেবে ব্যবহার করার চেস্টা করে যা সঠিক নয়।
আমার মতে, বিজ্ঞানের সাথে একত্ববাদী ধর্মের বরং বেশী মিল আছে যতটা না আছে নাস্তিকতার সাথে। কারণ, একত্ববাদী ধর্ম মতে সকল কার্যেরই একটা কারণ থাকে, আর সকল কারণের যদি একটা মূল উৎস না থাকে তাহলে বিজ্ঞান একটি ডিসকোর্স বা সমন্বিত পাঠ হয়ে উঠতে পারে না। এখানেই একত্ববাদের সাথে বিজ্ঞান মিলে যায়। আল্লাহ তিনিই যিনি যিনি সকল কার্যকারণকে একসূত্রে ধারণ করেন।
কুল হু আল্লাহ আহাদ ... আল্লাহু সামাদ।
বলুন তিনিই আল্লাহ যিনি একক। তিনিই সকল কিছুর কারণবিহীন কারণ।
বিজ্ঞানের বিগ ব্যাং বলুন আর শক্তির নিত্যতা সূত্রই বলুন এবং বিজ্ঞানের এ যাবত আবিস্কৃত সকল সূত্রের মাঝে যদি ঐক্য না থাকে তবে বিজ্ঞান একটি ডিসকোস হিসেবে তার যোগ্যতা হারায়।
ভবিষ্যত্ওে বিজ্ঞানের যত নতুন তত্ব ও তথ্য আবিস্কৃত হবে সে নতুন তত্ব ও তথ্য কে অতীতের সমস্ত সূত্র ও তত্বের সাথে সাযুজ্য বা ঐক্য রক্ষা করেই চলতে হবে।
নতুন যে তত্বটি অতীতে আবিস্কৃত বা ধারণা কৃত তত্বের সাথে মিলবে না সে নতুন ত্বত প্রতিষ্টা পাবে না। এটাই বিজ্ঞানের নীতি। বিজ্ঞানের যে কোনো নতুন তত্বকে এই পরীক্ষা পাশ করে আসতে হয়।
এ-ই যখন ব্যাপার। তার মানে হলো, যখন কেউ বিজ্ঞানের নতুন তত্ব আবিস্কার করতে চায় শুরুতেই সে ধরে নেয় যে, মহাবিশ্বের ঘটনাবলীর মধ্যে এমন এক শক্তি বা সূত্র আছে যার দ্বারা প্রস্তাবিত নতুন ত্বতটি অতীতের বৈজ্ঞানিক তত্বগুলির সাথে ঐক্য লাভ করবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।