স্বাধীনতা বিরোধীদের সঙ্গে আপোষ না করা
যায়যায়দিন এমনিতে কম দেখা হয়। তারপর হঠাৎ আজ একটা বিশেষ সম্পদকীয় দেখে স-ম্ভিত হলাম। দখল সূত্রে পাওয়া ওই পত্রিকাটির সম্পাদক নিজে বিশেষ সম্পাদকীয়টি লিখেছেন। ওই লেখায় তিনি জাহির করতে চেয়েছেন তিনি কত বড় সাংবাদিক।
লেখাটি লিখিয়ে সম্পাদক মহাদয় বলেছেন,
‘১. দেশের পত্র-পত্রিকায় আপনারা যেসব সংবাদ পাঠ করছেন তাতে কি কোনোভাবে মনে হয় সংবাদপত্রে স্বাধীনতার কমতি আছে?
২. টিভি চ্যানেলগুলোতে খবর এবং টক শো-এর মাধ্যমে প্রতিনিয়ত যা কিছু প্রচার হয়ে আসছে তাতে কি কোনো ভাবে মনে হচ্ছে এদের স্বাধীনতায় কোনো ঘাটতি আছে?
৩. একুশে টিভি, চ্যানেল আই, এনটিভি, বাংলাভিশন, এটিএন বাংলাসহ অন্যান্য সবকটা চ্যানেলে প্রতিদিন যেভাবে খবর ও টক শো প্রচার হচ্ছে তাতে কখনো কি মনে হয় দেশে জরম্নরি অবস'া আছে?
আমরা তো জানি, জরম্নরি অবস'া মানেই অনেক বিধিনিষেধ, অনেক নিয়মকানুনের মধ্যে লাগাম টেনে চলতে হয়, বলতে হয়।
’
তার এ লেখা পড়ে মনে হয়, জরুরী অবস'ায় সংবাদপত্রগুলো কথা বলতে না পারলে তার সুবিধা মানে যাদের হয়ে তিনি দালালি করেছেন, তাদের সুবিধা হয়।
মাননীয় লিখিয়ে সম্পাদক আপনি বলেছেন, ৪৫ বছর ধরে সাংবাদিকতা করছেন। তাহলে কয়েকদিন আগে মাত্র ভুমিষ্ঠ হলেন কেন? ও এতোদিন বুঝি সুযোগ পাননি? এখন সময় হওয়ায় সেই সুযোগ কাজে লাগাচ্ছেন?
শহিদুল হক খান আপনাকে একটা গল্প শোনাই- উইলিয়াম ড্যালরিম্পেলের হোয়াইট মুঘলস বইটায় বর্ণিত আছে, ‘জেনারেল স্যার ডেভিড অক্টারলোনি মোবারক বেগম নামে এক মহিলাকে বিয়ে করেন। ওই মহিলা ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হওয়ার আগে পুণার মন্দিরে সেবাদাসী ছিলেন বা নর্তকী ছিলেন। জেনারেলের সঙ্গে বিয়ের পরে অক্টারলোনির উইল অনুযায়ী তার নাম উল্লিখিত আছে বিবি মোহাতারাম মোবারক উন্নিসা বেগম ওরফে বেগম অক্টারলোনি।
অক্টারলোনির মৃত্যুর পর মোবারক বেগম মোবারকবাগ নামের সেই বিশাল সম্পত্তি লাভ করেন। বেগম পুরনো দিল্লির হাউস কাজীতে একটি মসজিদ নির্মাণ করান। কিন' নর্তকী হিসেবে তার পটভূমির কারণে কোনো মোঘল পুরুষকে তার নির্মিত মসজিদ ব্যবহার করতে দেখা যায়নি। অর্থ্যাৎ সেখানে কেউ নামাজ আদায় করতো না। এখন পর্যন- পুরানো দিল্লিতে এই মসিজদটির একই হাল শুধু নির্মাতার অতীত পরিচয়ের কারণে।
’ এই তথ্য কী বলে?
এই তথ্য বলে যে, মানুষ খুব সহজে ব্যক্তির চরিত্র ইতিহাস ভোলে না।
শহিদুল হক খান ভুলে যাবেন না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।