জীবন বুনে স্বপ্ন বানাই মানবজমিনে অনেক চাষ চাই
আবারও গৃহর্কমীকে গরম খুন্তির ছ্যাঁকা। একই খবর শুনতে শুনতে অনেকে হয়ত বিরক্ত। কিন্তু অত্যাচার নির্যাতন যদি প্রতিনিয়ত থাকে, তবে সে খবর জানানো ছাড়া আর কি উপায় থাকে ? আজকের নির্মমতার খবর শুনুন -
একটি ডিম চুরির অভিযোগ এনে
খানপুরে রত্নাকে গরম খুন্তি দিয়ে ছ্যাঁকা
# গৃহকত্রী মাহমুদা গ্রেপ্তার
স্টাফ রিপোর্টার
একটি ডিম চুরির অভিযোগ এনে এক গৃহবধু গরম খুন্তি দিয়ে নির্মমভাবে গৃহপরিচারিকা রত্নাকে (১৭)’র শরীরের বিভিন্নস্থানে ছ্যাঁকা দিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার শহরের নগর খানপুর এলাকায়। পুলিশ বদমেজাজী গৃহবধু মাহমুদা বেগমকে গতকাল সকালে গ্রেপ্তার করেছে।
নির্যাতিত গৃহপরিচারিকা রত্না জানায়, বৃহস্পতিবার ঘর থেকে একটি ডিম চুরি হয়। এতে গৃহকত্রী মাহমুদা বেগম সন্দেহ করে রত্না ডিমটি চুরি করে খেয়েছে। এ অভিযোগে রাতে খুন্তি গরম করে রত্নার দুই হাতে, গালে, পিঠে, বাম হাতের বাহুতে, ও বাম কানে ছ্যাঁকা দেয় গৃহকত্রী। এ সময় রত্নার আত্মচিৎকারে প্রতিবেশীদের মধ্যে বিষয়টি জানাজানি হয়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ গতকাল শুক্রবার সকালে আহত গৃহপরিচারিকা রত্নাকে উদ্ধার ও গৃহকত্রী মাহমুদাকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃত মাহমুদা বেগমের স্বামীর নাম হাবিবুর রহমান। সে লন্ডন প্রবাসী। তাদের গ্রামের বাড়ি লক্ষীপুর জেলায়। গ্রাম থেকেই এক বছর আগে রত্নাকে মাহমুদা তার নারায়ণগঞ্জের বাসায় গৃহপরিচারিকা হিসেবে নিয়ে আসে। তবে গৃহকত্রীর দাবী গরম পানি পড়ে রত্নার শরীরের বিভিন্ন অংশ পুড়ে গেছে।
সদর থানার ওসি মাহফুজুল করিম জানান, রত্নার শরীরের বিভিন্ন স্থানে পুড়ে যাওয়া দাগ রয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। এদিকে গ্রেপ্তারকৃত মাহমুদা বেগমকে আজ আদালতে পাঠানো হবে বলে পুলিশ জানায় ।
সামান্য কিছু প্রশ্ন। লণ্ডন প্রবাসীর স্ত্রীর কাছে একটি ডিম এত গুরুত্বপূর্ণ কেন হল ? একটি ডিমের মূল্য কত ? একটি ডিম চুরি করে খেয়েছে তা প্রমাণিত হয়নি, অথচ গরম খুন্তির ছ্যাঁকা ঠিকই চলল।
কথাই আছে না, যা কিছু চুরি হয়, গিন্নি বলেন কেষ্টা বেটাই চোর। আজ প্রতিটি ঘরে কোন চুরি হলেই ধরে নেয়া হয়, গৃহকর্মী চুরি করেছে। সে গরীব বলে সেই সন্দেহজনক নির্যাতনের শিকার হয়। এই রকম নির্মম নারী নির্যাতন করছে নারীরাই। কবে নারীরা নারীদের নির্যাতন করা ছেড়ে দেবে ? এই নির্মমতা থেকে গৃহকর্মীদের বাঁচার উপায় কী ?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।