যখন বিকাল হতে থাকে, হতে হতে সূর্যটা ঢলে পড়ে, পড়তে থাকে

শোনা যায়, ঢাকা ওয়াসা তাদের পানির পাইপ কোথায় কোথায় গিয়েছে সেটার কোন নথিপত্র খুঁজে পায় না, কিন্তু তাদের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর (ফাইন্যান্স এন্ড একাউন্স) মোঃ মাহবুবুর রহমান কোন ফাইলে ঘুস দাবী করতে হবে সেটা বেশ ভালভাবে খুঁজে বের করতে পারেন। নির্ভরযোগ্য একটা সূত্র আমাকে জানিয়েছে, মাহবুবুর রহমান ঢাকা ওয়াসার সার্ভিস প্রোভাইডারদের নিকট থেকে প্রকাশ্যে ১% ঘুস নিয়ে থাকেন। ধরুন বিল যদি হয় এক কোটি টাকা তবে তাকে দিতে হবে এ লাখ টাকা। কেউ তাকে বর্তমান সরকারের দুর্নীতি বিরোধী অভিযানের কথা স্মরণ করিয়ে দিলে তিনি প্রকাশ্যে বলে থাকেন যে দুদক বা টাস্কফোর্সকে জানিয়ে তার কোন ক্ষতি করা যাবে না। সব নাকি তার দেখা আছে! আমার উক্ত সোর্স জানিয়েছে মাহবুবুর রহমানের এই অস্বাভাবিক সাহসের উৎস নাকি স্বয়ং ম্যানেজিং ডিরেক্টর সেনাবাহিনীর মেজর হিসাবে অবসরপ্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ার মোঃ রায়হানুল আবেদীন।

তার কাছে ঘুসের একটা ভাল অংশ পৌঁছে যায়। ওই একই সূত্র জানিয়েছে একাউন্স ডিপার্টমেন্টের কর্মচারী ঢাকা ওয়াসার আওয়ামী পন্থী সিবিএ নেতা দুলাল বাবুও যেকোন বিলের জন্য ১% দাবী করে থাকেন। ঢাকা ওয়াসাকে সার্ভিস প্রদান করে এমন যেকোন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান, সার্ভিস প্রোভাইডার একবাক্যে স্বীকার করবে এই সিস্টেমের কথা। উল্লেখ্য ঢাকা ওয়াসার প্রাক্তন ম্যানেজিং ডাইরেক্টর জাম্পিং ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে খ্যাত আ ন ম আখতার হোসেন দুর্নীতির দায়ে আদালতের রায়ে জেল খাটছেন। ঢাকার সবচেয়ে প্রয়োজনীয় একটা পাবলিক সার্ভিস প্রতিষ্ঠানে এমন প্রকাশ্য দুর্নীতির জন্য ঢাকাবাসীকে পানিসংকটে ভুগতে হয়।

কোন সন্দেহ? ঘোষণাঃ পরবর্তী আকর্ষণ রাজউকের দুর্নীতি
।