তিনি বলেছেন, চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে শিগগিরই দেশে ফিরতে চান বিএনপির জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান।
তারেকের বিরুদ্ধে সব মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে হরতালের মধ্যে বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন বিএনপির মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসা শামসুজ্জামান।
তারেকের বিরুদ্ধে ২০টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে মুদ্রা পাচারের একটি মামলায় তাকে ইন্টারপোলের মাধ্যমে ফেরাতে গত রোববার আদালতের পরোয়ানা জারি হয়েছে।
গত সপ্তাহে লন্ডনে একটি সভায় তারেকের বক্তব্য নিয়ে মন্ত্রী ও সরকারি দলের নেতাদের সমালোচনার পর ওই পরোয়ানা জারি ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে বিএনপির অভিযোগ।
শামসুজ্জামান বলেন, “তারেক রহমান বর্তমানে লন্ডনে চিকিৎসাধীন আছেন। তার নিজের সিদ্ধান্ত দ্রুত দেশে ফিরে আসার। চিকিৎসকদের পরামর্শ নিয়েই তিনি তাড়াতাড়ি দেশে ফিরে আসবেন। ”
সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, “তাকে দেশে ফিরে আসার মতো পরিবেশ দিতে হবে। যেদিন তিনি ঢাকার বিমান বন্দরের নামবেন, সেদিন সরকার বুঝতে পারবে কত জনপ্রিয় তারেক রহমান।
”
খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক জরুরি অবস্থার সময় গ্রেপ্তার হন। জামিনে মুক্তি নিয়ে ২০০৮ সালের সেপ্টেম্বরে তিনি লন্ডন যান। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে সেখানেই রয়েছেন তিনি।
গত সপ্তাহে একটি বিএনপির একটি সভায় যোগ দিয়ে প্রবাস জীবনে প্রথম প্রকাশ্য রাজনৈতিক কার্যক্রমে আসেন তারেক, অনুপস্থিতিতেই যিনি দলের কাউন্সিলে জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
ওই সভার পর নতুন করে আলোচনায় আসেন তারেক।
সরকারদলীয় নেতা ও মন্ত্রীরা অভিযোগ করেন, খালেদা জিয়ার ছেলে লন্ডনে বসে ষড়যন্ত্র করছেন। চারদলীয় জোট সরকার আমলে তারেকের ‘দুর্নীতি’র কথাও তুলতে থাকেন তারা।
তারেকের বিরুদ্ধে সরকারি দলের অপপ্রচার চলছে অভিযোগ করে শামসুজ্জামান বলেন, “একটি সভায় তারেক রহমানের একটি বক্তব্য সরকারের ভিত কাঁপিয়ে দিয়েছে। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী, তার মন্ত্রিসভার সদস্যবৃন্দ ও নেতারা আইন, ক্ষমতা ও গণমাধ্যম ব্যবহার করে অপপ্রচার চালাচ্ছেন।
“এরপরও ফলাফল শূন্য।
আজ পর্যন্ত সুনির্দিষ্টভাবে তারেক রহমানের কোনো মামলা সরকার প্রমাণ করতে পারেনি। আমরা মনে করি, মিথ্যার শেষ আছে, প্রহসনেরও শেষ আছে। :
তারেকের বিরুদ্ধে পরিবেশমন্ত্রী হাছান মাহমুদ ও আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলামের বক্তব্যের সমালোচনা করেন শামসুজ্জামান। এই দুজনকে তারেক ইতোমধ্যে উকিল নোটিস পাঠিয়েছেন।
মুদ্রা পাচারের ওই মামলায় তারেকের অনুপস্থিতিতেই তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন হয়েছে।
এই অভিযোগের আরেকটি মামলায় তার ভাই আরাফাত রহমান কোকোর ইতোমধ্যে সাজা হয়েছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।